| আশরাফ আজীজ ইশরাক |

সেঞ্চুরী করার পর ব্যাটসম্যানদের শূন্যে ব্যাট হাঁকানো ক্রিকেট মাঠের খুব স্বাভাবিক দৃশ্য। শতক হাঁকিয়ে আকাশ ফুঁড়ে তিনি উঠে গেছেন অন্য এক চূড়ায়- এ যেন তারই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু কেমন হবে যদি সত্যি সত্যিই আকাশ ফুটো হয়ে যায়?

গবেষনায় দেখা গেছে ক্রিকেট ব্যাট সত্যি সত্যিই আকাশকে ফুটো করে দিচ্ছে। পৃথিবীর নিরাপত্তার সাথে জড়িত ওজোন স্তরকে ধ্বংস করে দেয় ক্রিকেট ব্যাট তৈরীর সময় ব্যবহৃত  মিথাইল ব্রোমাইড। এটি ব্রোমোমিথেন হিসেবেও পরিচত। রাসায়নিকভাবে একে CH3Br দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

২০০৫ সালে উন্নত বিশ্বে মিথাইল ব্রোমাইডের ব্যবহার সঙ্কুচিত করে ফেলা হয়। বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া মিথাইল ব্রোমাইড ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১৯শে মার্চ সম্পূর্নভাবে মিথাইল ব্রোমাইড নিষিদ্ধ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যার ফলে এক পর্যায়ে ক্রিকেট ব্যাট উৎপাদনই বন্ধ হতে ধরেছিল। পরবর্তীতে বিকল্প উপায়ে ক্রিকেট ব্যাট উৎপাদন অব্যাহত থাকে। বিকল্প উপায় বলতে উৎপাদনের কাজটা ইউরোপের বাহিরে করা হতে থাকে, মিথাইল ব্রোমাইড কিন্তু ঠিকই ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ উইলো কাঠের খণ্ড তৈরি হয় ইংল্যান্ডে। প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত হয় মিথাইল ব্রোমাইড। এর ফলে কাঠের গুণগত মান আর  দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়ে, পোকা ধরে না। সেই কাঠ পাঠানো হয় ভারত আর পাকিস্তানে। সেখানেই ‘ফিনিশড প্রোডাক্ট’ হিসেবে তৈরি হয় ব্যাট। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধোজ্ঞার কারনে ইংল্যান্ডে ইউলো কাঠ প্রক্রিয়াজাতকরন বন্ধ করে দিয়ে তা অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়।

এখন তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, ব্যাটসম্যানরা শূন্যে ব্যাট হাঁকানোর মাধ্যমে আসলেই কি তাহলে আকাশকে ফুঁটো করে দিচ্ছেন?