।মোকারম হোসেন।  

এ বছর (২০১৯) ২১শে ফেব্রুয়ারির একদিন আগে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি একটি বিস্ময়কর খবর দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়। সোলার অ্যান্ড হেলিওস্ফেরিক অবজার্ভেটরির (SOHO) বিশ বছরের পুরনো ডাটা থেকে তারা এই চমকপ্রদ তথ্য উদঘাটন করে।

ব্যাপন সব সংখ্যা ৯৯৯!

এই তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের দূরতম অংশ (যা জিওকরোনা বা ভূমুকুট নামে পরিচিত) চাঁদের কক্ষপথকে ছাড়িয়ে গেছে। সহজ করে বললে, চাঁদ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অবস্থান করছে বা করে। এখন জিওকরোনা সম্পর্কে একটু বলে নিই।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে দূরে এক্সোস্ফিয়ারের বহিঃস্থ সীমা জিওকরোনা। সমুদ্রপৃষ্ঠের ৭০০ কিলোমিটার ওপর থেকে প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এক্সোস্ফিয়ার বিস্তৃত। জিওকরোনা অঞ্চলটি হাইড্রোজেন গ্যাসের মেঘে পূর্ণ। সেই সাথে আছে বিদীর্ণ সূর্যরশ্মির মাঝে গভীর মহাকাশ থেকে আসা অতিবেগুনির ক্ষীণকায় উজ্জ্বলতা।

কিন্তু কে জানতো এই অঞ্চলটি এত বিস্তৃত? তথ্য বলছে, পৃথিবীর ব্যাসের তুলনায় পঞ্চাশগুণ গভীর এবং চাঁদের কক্ষপথ থেকে আরও দ্বিগুণ দূরত্ব পর্যন্ত এই অঞ্চলটির সীমানা বিস্তৃত। তাইতো এই গবেষণার নেতৃত্ব দানকারী রাশিয়ান মহাকাশ গবেষণা ইনিস্টিউটের ইগোর বালিউকিন বলেছেন- পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে চাঁদ উড়ে।

সোলার এন্ড হেলিওস্ফেরিক অবজার্ভেটরি (SOHO) ১৯৯৫ সালে নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে মাত্র দুই বছরের প্রজেক্ট প্ল্যান নিয়ে মহাকাশে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে আজ ২৪ বছর ধরে সূর্য ও সূর্যের পরিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে নিরীক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। এটি ভূ-সৌর ব্যবস্থার ল-১ (L-1) অবস্থানে ঘুরছে।

এই অবজার্ভেটরির এক যন্ত্রের নাম SWAN − যেটি জিওকরোনা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। SWAN-এর সংবেদী অংশ জিওকরোনাতে হাইড্রোজেন এর উপস্থিতি চিহ্নিত করেছে। একই সাথে কোথায় এই হাইড্রোজেনের উপস্থিতি কমে গিয়ে শূন্য হয়েছে, সেটিও ভালোভাবে চিত্রিত করেছে।

চিত্র-২ : জিওকরোনার একটি আকর্ষণীয় ও ঐতিহাসিক ছবি

এই শিল্পানুগ চিত্রটি পৃথিবীর জিওকরোনার একটি আকর্ষণীয় ও ঐতিহাসিক চিত্র। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো-১৬-এর মহাকাশচারীদের দ্বারা চাঁদের ওপরের প্রথম টেলিস্কোপ দিয়ে এই ছবিটি তোলা হয়েছে। এই ছবিটি দেখাচ্ছে যে, জিওকরোনা পৃথিবীকে ঘিরে আছে এবং অতিবেগুনি রশ্মিতে উজ্জ্বল দ্যুতি ছড়াচ্ছে।

আমরা অনেক সময় খালি চোখে সূর্য কিংবা চাঁদকে বেষ্টন করে এমন বলয় দেখতে পাই। যা মেঘযুক্ত বা বৃষ্টি পরবর্তী আকাশে দেখা যায়। এটা জিওকরোনার বর্ধিত কোনো অংশ নয় বরং পৃথিবীর বায়ুর দ্যুতি।  

তথ্যসূত্র :

  • আর্থস্কাই ডট অর্গ
মে-জুন ২০১৯। বর্ষ ৫। সংখ্যা ১ 

চন্দ্রাভিযান  (পর্ব-১)

পানির অপর নাম তরমুজ!

ব্ল্যাক হোলের প্রথম ছবি

অ্যাপেন্ডিক্স কি আসলেই অপ্রয়োজনীয়!

বিটকয়েনের দৌরাত্ন্য

রেডিয়েশন : অসাধারণ ত্যাগের আবিষ্কার

আবরার নাফির ফিজিক্সে রৌপ্য জয়ের গল্প

চুম্বকত্বের আদ্যোপান্ত

চিনে রাখি অসুখগুলি

দুরন্ত বাড়ন্ত e

অবলোহিত আলো দেখতে চাও?

মস্তিষ্ক দখল

মহাবিশ্বের স্ফীতি

মাটির ভুবনে

তোমাদের প্রশ্ন আমাদের উত্তর

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন

সহজে মিলাও সুডোকু

ফোটোনিক্স ও গবেষণা

মস্তিষ্ক দখল

ইভিএম কীভাবে কাজ করে?

পৃথিবীর বিপদ যত!

ইউরেনিয়াম: অবিশ্বাস্য শক্তির ভ্রুণ

একটি গ্রহ ও দুটি নিঃসঙ্গ কোটর

মহাশূন্যে বসবাস