আবিষ্কার সম্পর্কিত কন্টেন্ট সমূহ
৭ টি ব্লগ
পার্সি স্পেন্সার আমেরিকার বিখ্যাত অস্ত্র ও ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘... আরো পড়ুন পার্সি স্পেন্সার আমেরিকার বিখ্যাত অস্ত্র ও ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘র্যায়েথন’ এর একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অনেকের মত তিনিও... আরো পড়ুন পার্সি স্পেন্সার আমেরিকার বিখ্যাত অস্ত্র ও ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘র্যায়েথন’ এর একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অনেকের মত তিনিও আমেরিকান নেভি-তে খণ্ডকালীন দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ইলেকট্রনিক্সের জিনিয়াস হিসেবে তাঁর বেশ নামডাক হয়। ১৯৪৫ সালের কথা, স্পেন্সার একটি ‘ম্যাগ্নেট্রন’ নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলেন। ‘ম্যাগ্নেট্রন’ রাডারে অণুতরঙ্গ বা মাইক্রোওয়েভ এর উৎস হিসেবে কাজ করত। দুটি চৌম্বক ক্ষেত্রের পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে এক ধরণের উচ্চ কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট তরঙ্গ নির্গত হয়। তখনও পর্যন্ত ‘ম্যাগ্নেট্রন’ ব্যবহৃত হত রাডারের পাওয়ার সোর্স বা শক্তির উৎস হিসেবে। যাহোক, ম্যাগ্নেট্রন নিয়ে কাজ করার সময় মিঃ স্পেন্সার তার প্যান্টের চারপাশে পুড়ে যাওয়ার একটা অনুভূতি পেলেন। তিনি লক্ষ্য করলেন তার পকেটে থাকা চকোলেট-এর বারটি গলে যাচ্ছে। তাঁর বুঝতে বাকি রইলো না যে ম্যাগ্নেট্রন নিঃসৃত মাইক্রোওয়েভ থেকেই এই ‘... আরো পড়ুন
বিস্ফোরক দ্রব্যাদির গবেষনা খুব সহজ নয়, নয় হাসি তামাশার ব্যপারও। "আলফ্রেড নোবেল... আরো পড়ুন বিস্ফোরক দ্রব্যাদির গবেষনা খুব সহজ নয়, নয় হাসি তামাশার ব্যপারও। "আলফ্রেড নোবেল" একজন সুইডিশ রসায়নবিদ ও প্রযুক্তিবিদ। ডিনামাইট আবিষ্কার ছিল তাঁর অনে... আরো পড়ুন বিস্ফোরক দ্রব্যাদির গবেষনা খুব সহজ নয়, নয় হাসি তামাশার ব্যপারও। "আলফ্রেড নোবেল" একজন সুইডিশ রসায়নবিদ ও প্রযুক্তিবিদ। ডিনামাইট আবিষ্কার ছিল তাঁর অনেক পরিশ্রমের ফসল। নাইট্রোগ্লিসারিন কে সুস্থির রাখতে, এমন একটি বিস্ফোরক তরল নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে নোবেল ও অন্যান্য কর্মীরা সম্মুখীন হয়েছিলেন অনেক দুর্ঘটনার যা একটি চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছিলো। ১৮৬৪ সালে সুইডেনের স্টকহোমে একটি বিস্ফোরনে নোবেল তাঁর ভাই ছোট ভাই সহ হারান কিছু সহকর্মীকেও। কেউ জানতো না আসলে কি করে এই বিস্ফোরন ঘটেছিল। কিন্তু অনেক সন্দেহের ভিড়ে তাঁকেই ঠেলে দেয়া হল এই কারন অনুসন্ধানে এবং এই রকম বিস্ফোরক দ্রব্য কে নিরাপদ ভাবে রাখার উপায় বের করার জন্যে। নাইট্রোগ্লিসারিন এর অস্থিতিশীলতার এই নতুন ধর্মের সাথে নোবেল লাগাতর অনেক গুলো পরীক্ষা করলেন এই বিস্ফোরনের কারন বের করতে এবং এই সব পদার্থকে নিরাপদ রাখতে। কেউ এমনও বলে থাকেন যে, পরবর্তীতে... আরো পড়ুন
মানবদেহে কোন আর্টিফিশিয়াল উপকরণ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় প্... আরো পড়ুন মানবদেহে কোন আর্টিফিশিয়াল উপকরণ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় প্রোস্থেসিস (Prosthesis) বলা হয়। হৃৎপিন্ডে যে যন্ত্রটি স্থাপন করা হয় তাক... আরো পড়ুন মানবদেহে কোন আর্টিফিশিয়াল উপকরণ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় প্রোস্থেসিস (Prosthesis) বলা হয়। হৃৎপিন্ডে যে যন্ত্রটি স্থাপন করা হয় তাকে পেসমেকার বলে। কিন্তু আমরা কখনো কি ভেবে দেখেছি এই পেসমেকার সম্পর্কে? পেসমেকার হচ্ছে এমন এক ধরনের ডিভাইস যেটি অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে। তাহলে প্রশ্ন চলে আসে অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন কি? মানুষের স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন মিনিটে ৬০-৯০ টি। যদি স্বাভাবিকের চেয়ে স্পন্দন কম হয়, তাহলে হৃদপিন্ডে স্বাভাবিক রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, অর্থাৎ তখন শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহের জন্য হৃদপিন্ড কাজ করতে সক্ষম থাকে না। হৃদস্পন্দন যখন কমে যায় তখন এটাকে স্বাভাবিক করার জন্য পেসমেকার ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মজার বিষয় হল পেসমেকার এর যিনি আবিষ্কারক, Wilson Greatbatch (১৯১৯-২০১১), তিনি জানতেনই না যে কি আবিষ্কার হতে চলেছে। দুর্ঘটনাবশত এই আবিষ্কার পরবর্তীতে... আরো পড়ুন
খুদে বিজ্ঞানপ্রিয় বন্ধুরা, তোমাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয়- আলোর শক্তি কতটুকু? তোমরা... আরো পড়ুন খুদে বিজ্ঞানপ্রিয় বন্ধুরা, তোমাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয়- আলোর শক্তি কতটুকু? তোমরা হয়তো হুট করে জবাব দিবে, দৃষ্টি ঝাপসা করে চোখের সামনে সাদাকালো রেখার ন... আরো পড়ুন খুদে বিজ্ঞানপ্রিয় বন্ধুরা, তোমাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয়- আলোর শক্তি কতটুকু? তোমরা হয়তো হুট করে জবাব দিবে, দৃষ্টি ঝাপসা করে চোখের সামনে সাদাকালো রেখার নৃত্য ফুটিয়ে তোলা পর্যন্ত। কেউবা মাথা চুলকিয়ে বলবে এক্স-রেতে হাড়ের ছবি তোলা পর্যন্ত। কিন্তু আমি যদি বলি, আলো দিয়ে অতিশয় শক্ত স্টিল, এমনকি মাথার চুলকেও অনায়াসে কেটে ফেলা বা ছিদ্র করে ফেলা যাবে ইচ্ছেমতো- তবে কি তোমাদের চোখ চড়কগাছ হয়ে যাবে? হ্যাঁ! সে কথাই বলছি। বলছি বিস্ময়কর শক্তিসমৃদ্ধ এক আলোক রশ্মির কথা। তা কিন্তু যেই সেই আলো নয়- একেবারে লেজার রশ্মি। পারমাণবিক শক্তির সঞ্চালন সমৃদ্ধ এই আলোর ক্ষমতা রীতিমতো পিলে চমকানোর মতো। তোমরা হয়তো সায়েন্স ফিকশনে আলোর রিং ছুঁড়ে মারার মাধ্যমে শত্রুদেরকে আক্রমণ করতে দেখেছো। যার ফলে দানবাকৃতির গাড়ি, এমনকি প্লেনও ছিন্নভিন্ন হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। আরো পড়ুন
হিগস বোসন কী, এর অস্তিত্ব সম্পর্কে কীভাবে আমরা এত নিশ্চিত হলাম, কেনই বা আমরা একে... আরো পড়ুন হিগস বোসন কী, এর অস্তিত্ব সম্পর্কে কীভাবে আমরা এত নিশ্চিত হলাম, কেনই বা আমরা একে খুঁজে পেতে এত মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম– এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে কণা-পদ... আরো পড়ুন হিগস বোসন কী, এর অস্তিত্ব সম্পর্কে কীভাবে আমরা এত নিশ্চিত হলাম, কেনই বা আমরা একে খুঁজে পেতে এত মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম– এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে কণা-পদার্থবিদ্যার স্ট্যান্ডার্ড মডেলের অন্যান্য কণা সম্পর্কে আমাদের সবার আগে জানা দরকার। আমাদের জানা-শোনা মৌলিক কণার সংখ্যা খুব বেশি নয় – নেহায়েৎ হাতে গোনা। কিন্তু এর বাইরে আরও অনেক কণা থাকতে পারে, যেগুলো এখনও আমাদের অজানা। প্রতিটি মৌলিক কণার নির্দিষ্ট ভর ও স্পিন (ঘূর্ণন) থাকার পাশাপাশি এটি অন্য কণার উপর প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে। কোন কণার এরকম বৈশিষ্ট্যসূচক ধর্মগুলো জেনে ফেললে– এটা কোন ধরনের কণা– তা আমরা সহজেই বলতে পারি। প্রশ্ন আসতে পারে– কেন একই ধরনের প্রতিটি কণার (যেমন- ইলেকট্রনের যেকোন কণা) প্রত্যেকটির ভর, স্পিন বা মিথস্ক্রিয়ার প্রকৃতি একই রকম হবে? এর কারণ হল, এরা প্রত্যেকে একই ফিল্ডের উদ্দীপন বা কম্পন থেকে সৃষ্টি হয়। আরো পড়ুন
ভুল করার মাধ্যমে মানুষ অনেক সময় শিক্ষা গ্রহণ করে। ভুল হওয়ার মাধ্যমে নতুন তথ্যও ক... আরো পড়ুন ভুল করার মাধ্যমে মানুষ অনেক সময় শিক্ষা গ্রহণ করে। ভুল হওয়ার মাধ্যমে নতুন তথ্যও কিছু ক্ষেত্রে জানা যায়। যেমন : আমরা থমাস আলভা এডিসনের কথা জানি। তিনি কি... আরো পড়ুন ভুল করার মাধ্যমে মানুষ অনেক সময় শিক্ষা গ্রহণ করে। ভুল হওয়ার মাধ্যমে নতুন তথ্যও কিছু ক্ষেত্রে জানা যায়। যেমন : আমরা থমাস আলভা এডিসনের কথা জানি। তিনি কিসের জনক তোমরা নিশ্চয়ই জানো? তিনি অনেক কিছুরই জনক। তার মাধ্যে একটি হচ্ছে বৈদ্যুতিক বালব। কিন্তু তিনি রাতারাতিই এটি তৈরি করতে পারেননি। বাল্বের ফিলামেন্ট তৈরির সময় হাজারবার ব্যর্থ হন। কিন্তু তার ভাষায় এটি ব্যর্থতা নয়, বরং হাজারটি শিক্ষা। কিন্তু তাই বলে একটি ভুল থেকেই যে বড় কোনো আবিষ্কার হয়ে যায়– যা আমাদের জন্য অনেক কল্যাণকর, এমন কোনো কিছু কি কখনো ভেবে দেখেছো তোমরা ? আজ এমনই একটি মজার ঘটনা বলব যেখানে ভুল থেকেই আবিষ্কৃত হয়েছে দারুণ কিছু। আরো পড়ুন
২০ জুলাই ১৮২২। এদিন জার্মানি বিজ্ঞানী গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল জন্মগ্রহণ করেন, যাকে... আরো পড়ুন ২০ জুলাই ১৮২২। এদিন জার্মানি বিজ্ঞানী গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল জন্মগ্রহণ করেন, যাকে বলা হয় ‘ফাদার অব মর্ডান জেনেটিক্স’। শৈশবে তিনি উদ্যানপালক হিসেবে কাজ... আরো পড়ুন ২০ জুলাই ১৮২২। এদিন জার্মানি বিজ্ঞানী গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল জন্মগ্রহণ করেন, যাকে বলা হয় ‘ফাদার অব মর্ডান জেনেটিক্স’। শৈশবে তিনি উদ্যানপালক হিসেবে কাজ করতেন। অতঃপর তিনি ১৮৪০ সালে ওলোমোউৎস শহরে অবস্থিত ফিলোসফিক্যাল ইন্সটিটিউটে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৮৪৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক ফ্রিডরিখ ফ্রাঞ্জের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি সেখান থেকে পড়াশুনা শেষ করে ব্রুনের সেন্ট টমাস মঠে যোগদান করেন। সন্ন্যাসী জীবনের প্রারম্ভে তিনি তার নামের পূর্বে গ্রেগর অংশটি যুক্ত করেন। অতঃপর, ১৮৫১ সালে তিনি ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন এবং ১৮৫৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে মঠে প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর তিনি মঠের বাগানে মটরশুঁটির উপর গবেষণা শুরু করেন। ১৮৫৬ সাল থেকে শুরু করে ১৮৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ২৯ হাজার মটরশুঁটি চাষ ও পরীক্ষা করেন।তার এই গবেষণা দুটি সাধারণীকরণের সূচনা ঘটায়। আরো পড়ুন