মহাশূন্য সম্পর্কিত কন্টেন্ট সমূহ
৮ টি ব্লগ
মহাকাশ গবেষণা কেবলমাত্র মানুষের বৈজ্ঞানিক উন্নতির নিদর্শন ছিল না বরং একজাতির উপ... আরো পড়ুন মহাকাশ গবেষণা কেবলমাত্র মানুষের বৈজ্ঞানিক উন্নতির নিদর্শন ছিল না বরং একজাতির উপর অন্য জাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার এক অঘোষিত লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল। বিশে... আরো পড়ুন মহাকাশ গবেষণা কেবলমাত্র মানুষের বৈজ্ঞানিক উন্নতির নিদর্শন ছিল না বরং একজাতির উপর অন্য জাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার এক অঘোষিত লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা আর সোভিয়েত-ইউনিয়নের মধ্যে যে স্নায়ুযুদ্ধ (Cold War) শুরু হয় তার অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল মহাকাশ জয়ের প্রতিযোগিতা। ১৯৫৭ সালে মনুষ্যবিহীন (Unmanned) প্রথম মহাকাশযান স্পুটনিক-১ উৎক্ষেপন করে সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যায় বর্তমান রাশিয়া(তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন)। প্রথম মানুষ হিসেবে মহাকাশ ভ্রমন করেন ইউরি গ্যাগারিন ১৯৬১ সালে। অখ্যাত এই প্রকৌশলী রাতারাতি সোভিয়েত-ইউনিয়নের জাতীয় বীর-এ পরিণত হলেন। পুরো প্রক্রিয়াটির পেছনে যিনি মূল কারিগর ছিলেন সেই সের্গেই কোলোরেভ জীবদ্দশায় কোন কৃতিত্ব পাননি। ১৯৬৬ সালে কোলারভের মৃত্যুর পর তার নাম প্রথম প্রকাশ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। কেননা চল্লিশের দশকে কথিত দেশদ্রোহিতার অভিযোগে কোলোরেভ সাজাপ্রাপ্ত... আরো পড়ুন
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের আনঅফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েতে... আরো পড়ুন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের আনঅফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েতের মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধের (Cold War) সময়। ১৯৬৯ সালে চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে য... আরো পড়ুন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের আনঅফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েতের মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধের (Cold War) সময়। ১৯৬৯ সালে চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশ যুদ্ধে প্রথমবারের মত সোভিয়েতকে পেছনে ফেলতে সমর্থ হয়। কিন্তু সোভিয়েতও দমে যাবার পাত্র নয়। তারা আর দ্বিতীয়বার হারার জন্য প্রস্তুত নয়। এজন্যই তারা মহাকশে সবচেয়ে বেশি সময় বিচরণ করার রেকর্ড গড়তে ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল সর্বপ্রথম ‘সালিউট-১ (Slayut-1)’ নামক সর্বপ্রথম স্পেস স্টেশন পাঠায় মহাকাশে। মহাকশে লম্বা সময় বিচরণ এবং মিলিটারি সার্ভেইল্যান্সের পাশাপাশি মহাশূন্যে মানুষের শরীর খাপ খাওয়ানো ছিল সালিউটের অন্যতম মিশন। মহাকাশে অবতরণ এবং বিচরণের জন্য প্রথম যে বাধা সালিউটকে অতিক্রম করতে হয় তা হল- পৃথিবীর আকর্ষণ বল উপেক্ষা করে তার কক্ষপথে বিচরণ করা। সালিউটের পরিকল্পনা ছিল তিনজন ক্রু নিয়ে তিন সপ্তাহ মহাশূন্যে বিচরণ করা। আরো পড়ুন
প্রিয় বন্ধুরা, মহাকাশ নিয়ে আমাদের আকর্ষণের কোন কমতি নেই সেই প্রাচীনকাল থেকেই। কখ... আরো পড়ুন প্রিয় বন্ধুরা, মহাকাশ নিয়ে আমাদের আকর্ষণের কোন কমতি নেই সেই প্রাচীনকাল থেকেই। কখনো খালি চোখে, কখনো দূরবীন, কখনো বা টেলিস্কোপ দিয়ে নানান তথ্য উদ্ঘাটনে... আরো পড়ুন প্রিয় বন্ধুরা, মহাকাশ নিয়ে আমাদের আকর্ষণের কোন কমতি নেই সেই প্রাচীনকাল থেকেই। কখনো খালি চোখে, কখনো দূরবীন, কখনো বা টেলিস্কোপ দিয়ে নানান তথ্য উদ্ঘাটনে মহাকাশকে তন্নতন্ন খুঁজে ফিরেছে নামজাদা বিজ্ঞানীসহ অনেক সাধারণ মানুষও। এখন এতো এতো গবেষণার তথ্য উপাত্তের ভীড়ে আমাদের মনে হুট করে প্রশ্ন জাগতে পারে, পৃথিবী তো ৭১ শতাংশ পানিতে নিমজ্জিত, তাহলে কি মহাকাশে কোন পানি নেই? থাকলেই বা তা কতটুকু? কোথায় রয়েছে সবচেয়ে বেশি পানি? এই প্রশ্নগুলো গুছিয়ে দিতে এসো আজ দেখে নেয়া যাক- মহাকাশে পানির পরিমাণ কতটুকু এবং কোথায় বা সবচেয়ে বেশি পানি রয়েছে? আমরা সকলেই জানি যে, প্রাচুর্যতায় ভরপুর আমাদের এই পৃথিবী ছাড়া বিশ্বজগতের অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব এখন অবধি প্রমাণিত হয়নি। কোথায় প্রাণের বিকাশের পূর্বশর্ত হিসেবে সেখানে পানির উপস্থিতি থাকা বাঞ্ছনীয়। যার স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমাদের এই পৃথিবীতে রয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জা... আরো পড়ুন
তোমাদেরকে আগে আকাশে বসবাসের কথা বলেছি। এমন কিছু স্থাপনার কথা বলেছি যেগুলো ভূমি এ... আরো পড়ুন তোমাদেরকে আগে আকাশে বসবাসের কথা বলেছি। এমন কিছু স্থাপনার কথা বলেছি যেগুলো ভূমি এমনকি মেঘ থেকেও অনেক উপরে অবস্থিত। আজকে আর একটু এগিয়ে পৃথিবীর সীমানার ব... আরো পড়ুন তোমাদেরকে আগে আকাশে বসবাসের কথা বলেছি। এমন কিছু স্থাপনার কথা বলেছি যেগুলো ভূমি এমনকি মেঘ থেকেও অনেক উপরে অবস্থিত। আজকে আর একটু এগিয়ে পৃথিবীর সীমানার বাইরে মহাশুন্যে বসবাসের কথা বলবো। তোমরা হয়তো অবাক হয়ে ভাবছো, পৃথিবীর বাইরেও কি বসবাস করা সম্ভব? হুম, সম্ভব। আর সেটা আজকে নয় বরং আরো পঞ্চাশ বছর আগে থেকেই সম্ভব। এবং কিছু মানুষ আমাদের সবার অগোচরে মহাশূন্যে বসবাস করছে। আকাশে মানুষ নির্মিত সব থেকে বড় স্থাপনা হল- ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (ISS), যা পৃথিবীর নিকট দূরত্বে থেকে ক্রমাগত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে যাচ্ছে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে প্রতিদিন ষোল বার করে আমাদের মাথা থেকে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার উপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করছে। পৃথিবীর বাইরে এবং মহাশুন্যে এটাকেই এ পর্যন্ত মানুষের দ্বিতীয় আবাসস্থল বলা যায় যেখানে দশজন ক্রু সবসময় অবস্থান করে যাচ্ছে। আরো পড়ুন
মহাকাশে যান পাঠানো কঠিন নাকি ওখানে অবস্থান করা কঠিন? আসলে মাহাকাশে যাবার পূর্বে... আরো পড়ুন মহাকাশে যান পাঠানো কঠিন নাকি ওখানে অবস্থান করা কঠিন? আসলে মাহাকাশে যাবার পূর্বে ভাবা হত মহাকাশে যাওয়াই কঠিন। একবারে যেতে পারলে আর সমস্যা নেই। কারণ হিস... আরো পড়ুন মহাকাশে যান পাঠানো কঠিন নাকি ওখানে অবস্থান করা কঠিন? আসলে মাহাকাশে যাবার পূর্বে ভাবা হত মহাকাশে যাওয়াই কঠিন। একবারে যেতে পারলে আর সমস্যা নেই। কারণ হিসেবে ধরা হত মহাশূন্যের ‘জিরো গ্র্যাভিটি’ বা ওজনহীনতাকে। মানে মহাশূন্যে কোন বায়ু না থাকায় আর মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ বল কাজ না করায় সেখানে বস্তু ওজনহীন হয়ে যায়। ফলে বাহ্যিক কোন বল প্রয়োগ না করলে গতিশীল বস্তু আজীবন গতিশীল আর স্থিতিশীল বস্তু আজীবন স্থিতিশীলই থেকে যাবে। অর্থাৎ একটা মহাকাশযানকে যদি কোনো রকমে মহাশূন্যে পাঠানো যায় তাহলে সেটা কোনরকম তেল বা শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই এমনি এমনিই আজীবন ঘুরতে থাকবে- এমনটাই ধারণা করা হত। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল পরিস্থিতি ভিন্ন রকম। মহাশূন্য আসলে শুন্য বা বায়ুহীন না। সেখানে খুবই অল্প পরিমাণে বায়ু রয়েছে। আর এই বায়ুই মহাকাশে নিশ্চিন্তে বসবাসের পথ রোধ করে দিল। আরো পড়ুন
বিয়ের কথা শুনলেই দাওয়াত খাওয়ার জন্য জিভে জল চলে আসে তাই না? এ যাত্রায় ওসব জল সংব... আরো পড়ুন বিয়ের কথা শুনলেই দাওয়াত খাওয়ার জন্য জিভে জল চলে আসে তাই না? এ যাত্রায় ওসব জল সংবরণ করতে হবে দাদারা! কারণ এ বিয়ে খেতে হলে হাজার মাইল পাড়ি দিতে হবে তাও... আরো পড়ুন বিয়ের কথা শুনলেই দাওয়াত খাওয়ার জন্য জিভে জল চলে আসে তাই না? এ যাত্রায় ওসব জল সংবরণ করতে হবে দাদারা! কারণ এ বিয়ে খেতে হলে হাজার মাইল পাড়ি দিতে হবে তাও আবার মহাশূন্যে। হুম, বলছি দুই চিরশত্রু সোভিয়েত আর যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণায় মিলন আর তাদের যুক্ত প্রজেক্ট অ্যাপোলো-সয়ুজের (Apollo-Soyuz) কথা। এই মিলিত প্রজেক্টকে মহাকাশে ঘর বাঁধার মিলনমেলা বলা হয়। পরিকল্পনা ছিল এরকম। সোভিয়েত ইউনিয়ন কাজাখস্থান থেকে সয়ুজ নামক মহাকশযানটি উৎক্ষেপণ করবে। ঠিক একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে অ্যাপোলো উৎক্ষেপণ করবে। এরপর এরা উভয়ে ভুপৃষ্ঠ থেকে ২২০ কিলোমিটার উপরে একে অপরের সাথে মিলিত হবে। এরপর মার্কিন মহাকাশচারীরা সোভিয়েত মহাকাশচারীদের যানে প্রবেশ করবে এবং তারা উভয় যানে বিচরণ করে মিলিতভাবে গবেষণা চালাবে। মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এই উল্লেখযোগ্য এবং গুরত্বপূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালে। আরো পড়ুন
পত্র-পত্রিকায় আমরা নিয়মিত পড়ি, অমুক দিন পৃথিবী তমুক ধূমকেতুর আঘাতে শেষ হয়ে যাবে।... আরো পড়ুন পত্র-পত্রিকায় আমরা নিয়মিত পড়ি, অমুক দিন পৃথিবী তমুক ধূমকেতুর আঘাতে শেষ হয়ে যাবে। এ সবই সংবাদ-মাধ্যমগুলোর অতিরঞ্জন। তবে যা কিছু রটে, কিছু না কিছু ঘটে ব... আরো পড়ুন পত্র-পত্রিকায় আমরা নিয়মিত পড়ি, অমুক দিন পৃথিবী তমুক ধূমকেতুর আঘাতে শেষ হয়ে যাবে। এ সবই সংবাদ-মাধ্যমগুলোর অতিরঞ্জন। তবে যা কিছু রটে, কিছু না কিছু ঘটে বলেই সামান্য কিছু সত্যতাও আছে। পৃথিবীর সাথে এমন সংঘর্ষের দিক থেকে গ্রহাণু ও ধূমকেতুদের কথাই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে। সুইফট টাটল (Swift-Tuttle) এমন একটি ধূমকেতু। জানা গিয়েছিল, ২১২৬ সালের ২১শে আগস্ট এটি পৃথিবীতে আঘাত হানবে। যদি সেটাই ঘটে, বৈশ্বিক দুর্যোগ অবধারিত। ইতি ঘটবে মানুষেরও। ১৯৯৩ সালে একে দেখার পরে হিসাব-নিকাশ করে দেখা গেল ২১২৬ সালে একটি সংঘর্ষ হচ্ছেই। পরে সংশোধিত হিসাবে দেখা যায়, এটি সপ্তাহের জন্যে পৃথিবীকে মিস করবে। অল্পের জন্য বাঁচা। আমরা এর দিক থেকে নিশ্চিন্তেই থাকতে পারি। তবে বিপদ যে একেবারেই নেই তা কিন্তু নয়। আজ হোক, কাল হোক, সুইফট টাটল বা এরই মতো কেউ পৃথিবীতে আঘাত হানবেই। আরো পড়ুন
মানব সভ্যতা ঠিক যতটা প্রাচীন তার উন্নতির ধারা ঠিক ততটাও প্রাচীন নয়। আর এই উন্নয়ন... আরো পড়ুন মানব সভ্যতা ঠিক যতটা প্রাচীন তার উন্নতির ধারা ঠিক ততটাও প্রাচীন নয়। আর এই উন্নয়নের আদ্যোপান্ত জুড়ে আছে কিছু কৌতূহলী মানুষের হাজারো প্রশ্নের ওষ্ঠাগত চ... আরো পড়ুন মানব সভ্যতা ঠিক যতটা প্রাচীন তার উন্নতির ধারা ঠিক ততটাও প্রাচীন নয়। আর এই উন্নয়নের আদ্যোপান্ত জুড়ে আছে কিছু কৌতূহলী মানুষের হাজারো প্রশ্নের ওষ্ঠাগত চাহনিরা। তারই ফলস্বরূপ প্রশ্ন করাকে এখন আশীর্বাদের সাথে তুলনা করা হয়। যাহোক, তেমনি একটি প্রশ্নই আজকের এই আলোচনার হেতু। প্রশ্নটি আমার মানসপটে কিভাবে উত্থাপিত হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করেই মূল আলোচনায় চলে যাবো। কিছুকাল পূর্বেও আমরা গুটিকয়েক বন্ধু কোনো এক বাসার ছাদে বিকেল বেলাটা অলস আড্ডায় কাটাতাম। আরো পড়ুন