মহাকাশ

পার্কার সোলার প্রোব : সূর্যকে ছোঁয়ার মহাকাব্যিক অভিযান

জেবিন মাহমুদ

১৫ মার্চ ২০২৩
Time Icon  

 ৬ মিনিট

আমরা এমন এক মহাবিশ্বে বাস করি যার বিশালতা কল্পনা করাই দুঃসাধ্য। প্রায় ১৩.৭ বিলিয়ন বছরের বুড়ো এ মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি, গ্রহ-নক্ষত্র, নীহারিকা আরও কত মহাজাগতিক বস্তুই না রয়েছে এ বিশ্বব্রক্ষ্মাণ্ডে। আমরা যে গ্যালাক্সিতে বাস করি এর নাম মিল্কিওয়ে। শুধু আমাদের গ্যালাক্সিতেই প্রায় ১০০-৪০০ বিলিয়ন নক্ষত্র রয়েছে, যদিও বিশালতার দিক থেকে এটা অতি সাধারণ গ্যালাক্সি। এমন বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্রের ভিড়ে আমরা যে নক্ষত্রের চারপাশে অবিরাম প্রদক্ষিণ করছি এটি আমাদের চিরচেনা সূর্য (Sun)। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত আমাদের সৌরজগত। কিন্তু অকল্পনীয় বড় এ মহাবিশ্বে আমরা কি শুধুই একা? বিশ্বব্রক্ষ্মাণ্ডের অন্য কোনো প্রান্তে কি গড়ে উঠেনি নতুন কোনো সভ্যতা? মানব সভ্যতা বিকাশেরও বহু আগে হয়তো কোনো এক আধাঁর রাতে গুহাবাসী কৌতুহলী মানুষ মাথা তুলে তাকিয়ে ছিলো অনন্ত মহাশূন্যের দিকে। আকাশের ঐ মিটিমিটি তারাদের দেখে তাদের রহস্য উদ্ধার করতে চেয়েছিলো। আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আধুনিক মানুষ নানান রহস্য উদঘাটনে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের তৈরি মহাকাশযান ছুটে চলেছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে। বিখ্যাত ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছেন,


“আমরা এক পাগল করা মহাবিশ্ব পেয়েছি। আমরা চারদিকে যা দেখছি তার অর্থোদ্ধার করতে চাই এবং জানতে চাই এই মহাকাশের প্রকৃতি ঠিক কি? এখানে আমাদের স্থান কোথায় এবং এই মহাবিশ্ব আর এই আমরা কোথা থেকে এলাম? এই মহাকাশ আমরা ঠিক যেভাবে দেখছি সেটাই বা কেনো?”

২ বছর

শেয়ার করুন

কপি