ইতিহাস
১৯০০ সালের গ্রীষ্মের সময় তখন। এপ্রিলের দিকে একদল গ্রীক ‘স্পঞ্জ ডাইভার’ [স্পঞ্জ ড... আরো পড়ুন ১৯০০ সালের গ্রীষ্মের সময় তখন। এপ্রিলের দিকে একদল গ্রীক ‘স্পঞ্জ ডাইভার’ [স্পঞ্জ ডুবুরী] অলস ডুব দিচ্ছেন গ্রীসের ‘এন্টিকিথেরা’ দ্বীপের কাছাকাছি একটা জায়... আরো পড়ুন ১৯০০ সালের গ্রীষ্মের সময় তখন। এপ্রিলের দিকে একদল গ্রীক ‘স্পঞ্জ ডাইভার’ [স্পঞ্জ ডুবুরী] অলস ডুব দিচ্ছেন গ্রীসের ‘এন্টিকিথেরা’ দ্বীপের কাছাকাছি একটা জায়গায়। উদ্দেশ্য দ্বীপের পাশের পানির নিচ থেকে স্পঞ্জ তুলে এনে বাজারে বিক্রি করা। এই ডুবুরীর দল কখনো স্বপ্নেও ভাবেন নি যে তারাই হতে যাচ্ছেন দুনিয়ার সবচেয়ে পুরাতন কম্পিউটারের আবিষ্কারকারী। কারন আদতে কম্পিউটার তখনো বানানো হয় নি সেভাবে। সাধারন মানুষ তো দূরের কথা এমনকি বিজ্ঞানচর্চার সাথে জড়িত সবাইও জানতো না কম্পিউটার নামক যন্ত্র সম্পর্কে। ডুবুরী দলের একটা অংশ ডুব দিলেন সাগরের ৪৫ মিটার বা ১৪৮ ফুট গভীরে। পানির নিচে যাওয়ার পরে খুব অবাক হয়ে তারা লক্ষ্য করলেন আবছা অন্ধকারে সম্ভবত অনেক পুরাতন একটা জাহাজের ভাংগা কিছু অংশ দেখা যায়। আবিষ্কারের উত্তেজনায় তারা উপরে উঠে এলেন। দলের বাকী সবাইকে জানালেন। সবাই আবার ডুব দিয়ে নিচে গিয়ে নিশ্চিত হলেন যে, এই জাহাজটি অনেক... আরো পড়ুন
মানবদেহে কোন আর্টিফিশিয়াল উপকরণ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় প্... আরো পড়ুন মানবদেহে কোন আর্টিফিশিয়াল উপকরণ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় প্রোস্থেসিস (Prosthesis) বলা হয়। হৃৎপিন্ডে যে যন্ত্রটি স্থাপন করা হয় তাক... আরো পড়ুন মানবদেহে কোন আর্টিফিশিয়াল উপকরণ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় প্রোস্থেসিস (Prosthesis) বলা হয়। হৃৎপিন্ডে যে যন্ত্রটি স্থাপন করা হয় তাকে পেসমেকার বলে। কিন্তু আমরা কখনো কি ভেবে দেখেছি এই পেসমেকার সম্পর্কে? পেসমেকার হচ্ছে এমন এক ধরনের ডিভাইস যেটি অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে। তাহলে প্রশ্ন চলে আসে অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন কি? মানুষের স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন মিনিটে ৬০-৯০ টি। যদি স্বাভাবিকের চেয়ে স্পন্দন কম হয়, তাহলে হৃদপিন্ডে স্বাভাবিক রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, অর্থাৎ তখন শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহের জন্য হৃদপিন্ড কাজ করতে সক্ষম থাকে না। হৃদস্পন্দন যখন কমে যায় তখন এটাকে স্বাভাবিক করার জন্য পেসমেকার ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মজার বিষয় হল পেসমেকার এর যিনি আবিষ্কারক, Wilson Greatbatch (১৯১৯-২০১১), তিনি জানতেনই না যে কি আবিষ্কার হতে চলেছে। দুর্ঘটনাবশত এই আবিষ্কার পরবর্তীতে... আরো পড়ুন
শিরোনাম দেখে কি কপাল কুঁচকে গেছে? জ্যোতির্বিদ্যায় নোবেল! এ কেমন অদ্ভূতুড়ে কথা! হ... আরো পড়ুন শিরোনাম দেখে কি কপাল কুঁচকে গেছে? জ্যোতির্বিদ্যায় নোবেল! এ কেমন অদ্ভূতুড়ে কথা! হ্যাঁ, জ্যোতির্বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার প্রদানের কোন ব্যবস্থা নেই। নোবেল... আরো পড়ুন শিরোনাম দেখে কি কপাল কুঁচকে গেছে? জ্যোতির্বিদ্যায় নোবেল! এ কেমন অদ্ভূতুড়ে কথা! হ্যাঁ, জ্যোতির্বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার প্রদানের কোন ব্যবস্থা নেই। নোবেল নেই বিজ্ঞানের আরেকটি অবিচ্ছেদ্য শাখা গণিতের জন্যেও। ফলে এই দু’টি ফিল্ড নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে- কেন এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় বাদ পড়ে যাচ্ছে। আলফ্রেড নোবেল সাহেব তাঁর নোবেলের উইলে বলে রেখেছিলেন নোবেল প্রাইজ শুধু তাঁদেরকেই দেওয়া হবে যারা পরবর্তী বছরগুলোতে মানবজাতির সর্বোত্তম কল্যাণ সাধন করবে। তিনি বলে দিয়েছিলেন পুরস্কারের ক্ষেত্রও। কিন্তু তাঁর তালিকায় জ্যোতির্বিদ্যার কোন স্থান ছিল না। তিনি হয়ত ভেবেছিলেন গণিত বা বিজ্ঞানের এই শাখাটির তেমন কোন বাস্তব কল্যাণ নেই। অবশ্য পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি, সাহিত্য- এই পাঁচটি বিষয়ের পাশাপাশি পুরস্কারের শ্রেণিতে যুক্ত হয় অর্থনীতিও। তবে এটির অর্থায়ন করে সুইডিশ... আরো পড়ুন
উনবিংশ শতাব্দীতে ফ্রান্সের প্যারিসে শুধুমাত্র নিজের বুদ্ধির প্রয়োগে অপরাধ জগতে হ... আরো পড়ুন উনবিংশ শতাব্দীতে ফ্রান্সের প্যারিসে শুধুমাত্র নিজের বুদ্ধির প্রয়োগে অপরাধ জগতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন যিনি, তারই নাম আলফোঁজ বারটিলন (Alphonse Bertillon)।... আরো পড়ুন উনবিংশ শতাব্দীতে ফ্রান্সের প্যারিসে শুধুমাত্র নিজের বুদ্ধির প্রয়োগে অপরাধ জগতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন যিনি, তারই নাম আলফোঁজ বারটিলন (Alphonse Bertillon)। স্যার আর্থার কোনান ডয়েল যেমন অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বাস্তব জীবনের ডক্টর জোসেফ বেলকে দেখে। তার সময় তো বটেই, পরবর্তীকালে আলফোঁজ বারটিলন প্রদর্শিত পথে সারা বিশ্বের গোয়েন্দারা এমনকি পুলিশ পর্যন্ত অনুসরণ করতে বাধ্য হয়েছিল। আরো পড়ুন
ভুল করার মাধ্যমে মানুষ অনেক সময় শিক্ষা গ্রহণ করে। ভুল হওয়ার মাধ্যমে নতুন তথ্যও ক... আরো পড়ুন ভুল করার মাধ্যমে মানুষ অনেক সময় শিক্ষা গ্রহণ করে। ভুল হওয়ার মাধ্যমে নতুন তথ্যও কিছু ক্ষেত্রে জানা যায়। যেমন : আমরা থমাস আলভা এডিসনের কথা জানি। তিনি কি... আরো পড়ুন ভুল করার মাধ্যমে মানুষ অনেক সময় শিক্ষা গ্রহণ করে। ভুল হওয়ার মাধ্যমে নতুন তথ্যও কিছু ক্ষেত্রে জানা যায়। যেমন : আমরা থমাস আলভা এডিসনের কথা জানি। তিনি কিসের জনক তোমরা নিশ্চয়ই জানো? তিনি অনেক কিছুরই জনক। তার মাধ্যে একটি হচ্ছে বৈদ্যুতিক বালব। কিন্তু তিনি রাতারাতিই এটি তৈরি করতে পারেননি। বাল্বের ফিলামেন্ট তৈরির সময় হাজারবার ব্যর্থ হন। কিন্তু তার ভাষায় এটি ব্যর্থতা নয়, বরং হাজারটি শিক্ষা। কিন্তু তাই বলে একটি ভুল থেকেই যে বড় কোনো আবিষ্কার হয়ে যায়– যা আমাদের জন্য অনেক কল্যাণকর, এমন কোনো কিছু কি কখনো ভেবে দেখেছো তোমরা ? আজ এমনই একটি মজার ঘটনা বলব যেখানে ভুল থেকেই আবিষ্কৃত হয়েছে দারুণ কিছু। আরো পড়ুন
আমরা এখন বাস করছি আধুনিক যুগে। বিজ্ঞান আমাদের জন্য আরও অনেক চমক বাকি রেখেছে সামন... আরো পড়ুন আমরা এখন বাস করছি আধুনিক যুগে। বিজ্ঞান আমাদের জন্য আরও অনেক চমক বাকি রেখেছে সামনে। জানি না পৃথিবীর আর কতটুকু সময় বাকি রয়েছে। কিন্তু যতদিন এই মানবসভ্যত... আরো পড়ুন আমরা এখন বাস করছি আধুনিক যুগে। বিজ্ঞান আমাদের জন্য আরও অনেক চমক বাকি রেখেছে সামনে। জানি না পৃথিবীর আর কতটুকু সময় বাকি রয়েছে। কিন্তু যতদিন এই মানবসভ্যতা টিকে থাকবে ততদিন আবিষ্কার রথ চলতেই থাকবে। তাই সময় এখন এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু আমি এখন কিছু বকবক করবো আদি যুগের একটি সভ্যতা এবং তাদের কিছু অসাধারণ আবিষ্কার নিয়ে। আর এটি হলো মেসোপোটেমীয় সভ্যতা। যাদের ইতিহাস নিয়ে সামান্য জ্ঞান আছে তারা হয়তো এই সভ্যতার নাম শুনে থাকবে। তাহলে চলো ঢুকে পড়ি এই সভ্যতায়। দেখে আসি কেমন ছিলো তাদের জীবন আর কী দিয়েছে তারা বিজ্ঞান জগতকে। আরো পড়ুন
২০ জুলাই ১৮২২। এদিন জার্মানি বিজ্ঞানী গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল জন্মগ্রহণ করেন, যাকে... আরো পড়ুন ২০ জুলাই ১৮২২। এদিন জার্মানি বিজ্ঞানী গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল জন্মগ্রহণ করেন, যাকে বলা হয় ‘ফাদার অব মর্ডান জেনেটিক্স’। শৈশবে তিনি উদ্যানপালক হিসেবে কাজ... আরো পড়ুন ২০ জুলাই ১৮২২। এদিন জার্মানি বিজ্ঞানী গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল জন্মগ্রহণ করেন, যাকে বলা হয় ‘ফাদার অব মর্ডান জেনেটিক্স’। শৈশবে তিনি উদ্যানপালক হিসেবে কাজ করতেন। অতঃপর তিনি ১৮৪০ সালে ওলোমোউৎস শহরে অবস্থিত ফিলোসফিক্যাল ইন্সটিটিউটে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৮৪৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক ফ্রিডরিখ ফ্রাঞ্জের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি সেখান থেকে পড়াশুনা শেষ করে ব্রুনের সেন্ট টমাস মঠে যোগদান করেন। সন্ন্যাসী জীবনের প্রারম্ভে তিনি তার নামের পূর্বে গ্রেগর অংশটি যুক্ত করেন। অতঃপর, ১৮৫১ সালে তিনি ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন এবং ১৮৫৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে মঠে প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর তিনি মঠের বাগানে মটরশুঁটির উপর গবেষণা শুরু করেন। ১৮৫৬ সাল থেকে শুরু করে ১৮৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ২৯ হাজার মটরশুঁটি চাষ ও পরীক্ষা করেন।তার এই গবেষণা দুটি সাধারণীকরণের সূচনা ঘটায়। আরো পড়ুন