কল্পবিজ্ঞান
আবার রোলকলের সময় ঝিমুনী এসে গিয়েছিলো প্রিয়াঙ্কার। ৬৫ জনের মধ্যে শেষের দিকে রোল হ... আরো পড়ুন আবার রোলকলের সময় ঝিমুনী এসে গিয়েছিলো প্রিয়াঙ্কার। ৬৫ জনের মধ্যে শেষের দিকে রোল হওয়ায় প্রায়ই এমন হয়, টিচার তার রোল পর্যন্ত আসতে আসতে ঝিমুনী চলে আসে। অন... আরো পড়ুন আবার রোলকলের সময় ঝিমুনী এসে গিয়েছিলো প্রিয়াঙ্কার। ৬৫ জনের মধ্যে শেষের দিকে রোল হওয়ায় প্রায়ই এমন হয়, টিচার তার রোল পর্যন্ত আসতে আসতে ঝিমুনী চলে আসে। অন্যদিন তো দুই বান্ধবী ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে দেয় তার রোল আসার আগেই। আজ কি হলো? আরেকটু হলেই তো অ্যাটেনডেন্সটাই মিস হয়ে যাচ্ছিলো। প্রশ্ন করার জন্য ডানদিকে ঘাড় ঘুড়িয়ে তনিমাকে পেলো না প্রিয়াঙ্কা। বোকার মত বামদিকে ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকালো। স্মৃতিও নেই। এরপর সামনে পিছনে। কোথাও কেউ নেই। একটা বেঞ্চে বসে আছে সে, সামনে একটা টেবিল। কিন্তু আশেপাশে কেউ নেই, কিচ্ছু নেই। শুধু কুয়াশার মত সাদা ধোঁয়া, যত দূর চোখ যায় ঘুরে ঘুরে পাক খাচ্ছে। হতভম্ব ভাবটা কাটতে না কাটতেই নারী কন্ঠের আওয়াজে চমকে উঠলো সে। - প্রি 0904152, please concentrate on the lecture. এদিক ওদিক কন্ঠস্বরের উৎস খুঁজছে তখন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কিছুই তো দেখা যাচ্ছে না, অন্ধ হয়ে গেলো নাকি? অন্য কোন আওয়াজও তো শোনা... আরো পড়ুন
চোখে মুখে বিস্ময় ও আতংকের ছাপ। এটা কিভাবে সম্ভব ? ভেবে কোন কূলকিনারা করতে পারছে... আরো পড়ুন চোখে মুখে বিস্ময় ও আতংকের ছাপ। এটা কিভাবে সম্ভব ? ভেবে কোন কূলকিনারা করতে পারছে না ডেভিলা। কোন ইকুয়েশনও মিলছে না। সকাল ১০.৪৭ থেকে ১০.৫২ এর মধ্যে পর পর... আরো পড়ুন চোখে মুখে বিস্ময় ও আতংকের ছাপ। এটা কিভাবে সম্ভব ? ভেবে কোন কূলকিনারা করতে পারছে না ডেভিলা। কোন ইকুয়েশনও মিলছে না। সকাল ১০.৪৭ থেকে ১০.৫২ এর মধ্যে পর পর ৩ বার ৮ সেকেন্ডের জন্য ইক্লোসারের সমস্ত ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ইক্লোসা একটি মহাকাশ স্টেশন। শনি ও ইউরেনাসের মাঝখানে সুতাবিহীন ববের মত ঝুলে আছে এটি এবং একটি উপগ্রহের মত শনিকে প্রদক্ষিণ করে চলছে। ষষ্ঠ বিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে উন্নত ও শক্তিশালী মহাকাশ স্টেশন ছিল ইক্লোসা। যদিও বর্তমানে এটি চতুর্থ মাত্রার মাঝারী মানের মহাকাশ স্টেশন। সম্ভাব্যতার মাপকাঠিতে ইক্লোসারে সমস্ত ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব। মহাকাশ স্টেশনে সর্বশেষ একবার ব্ল্যাকআউটের ঘটনা ঘটেছে, ৩০৫৯ সালে, এখন থেকে ১২ বছর আগে। তখন ডেভিলাইক্লোসা স্কুলে জুনিওর ক্যাডার হিসেবে ভর্তি হয়েছে মাত্র। তখন কিছু রোবটের বিশৃংখলা সৃষ্টির কারনে নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টরে... আরো পড়ুন
সিজান বলল, তুমি কে? এটা কোন জায়গা? অদ্ভুত জীবটি জবাব দিলো, আমার নাম টোটো। এটা ‘প... আরো পড়ুন সিজান বলল, তুমি কে? এটা কোন জায়গা? অদ্ভুত জীবটি জবাব দিলো, আমার নাম টোটো। এটা ‘প্যারালাল ইউনিভার্স’- যা তোমাদের পৃথিবীরই মিরর ইমেজ। -সেটা আবার কী? -তু... আরো পড়ুন সিজান বলল, তুমি কে? এটা কোন জায়গা? অদ্ভুত জীবটি জবাব দিলো, আমার নাম টোটো। এটা ‘প্যারালাল ইউনিভার্স’- যা তোমাদের পৃথিবীরই মিরর ইমেজ। -সেটা আবার কী? -তুমি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মধ্য দিয়ে এখানে ঢুকে পড়েছো। এর আগে অনেকেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে ঢুকেছে কিন্তু অধিকাংশই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। সবার আসার ক্ষমতাও এখানে থাকে না। তবে যাদের জীবনী শক্তি বেশি তারা এখানে টিকে যায়। -কি বলছো এসব! -ঠিকই বলছি। আমরা কেউ মিথ্যে কথা বলি না। আমিই তোমাকে বারমুডার সুড়ঙ্গ পথ থেকে উদ্ধার করে এখানকার দ্বীপে রেখে এসেছিলাম। আমরা তোমাদের পৃথিবী সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী। - কেন? -বলতে পারো এটা আমাদের মহাকাশ গবেষণারই একটি অংশ। তবে বর্তমান পৃথিবী সম্পর্কে আমরা খুব বেশি কিছু জানতে পারি নি। এ ব্যাপারে তুমি আমাদের সাহায্য করতে পারো। আরো পড়ুন
ডিসি-১৩ একটা মোচড় দিয়ে নিচ থেকে উপরে উঠে গেল। জনসনের দেহটা ছুটে এসে সিজানের গায়ে... আরো পড়ুন ডিসি-১৩ একটা মোচড় দিয়ে নিচ থেকে উপরে উঠে গেল। জনসনের দেহটা ছুটে এসে সিজানের গায়ের ওপর পড়ল। জোর হাতে সকল যাত্রী বেল্ট ও সিট আঁকড়ে ধরে পড়ে রইল। বার বার... আরো পড়ুন ডিসি-১৩ একটা মোচড় দিয়ে নিচ থেকে উপরে উঠে গেল। জনসনের দেহটা ছুটে এসে সিজানের গায়ের ওপর পড়ল। জোর হাতে সকল যাত্রী বেল্ট ও সিট আঁকড়ে ধরে পড়ে রইল। বার বার চক্কর খেতে খেতে ডিসি-১৩ ক্রমশ নিচের দিকে ধাবিত হতে লাগল। জনসন গলায় ঝুলানো ক্রস চিহ্নটা বার বার বুকে ও কপালে ছোঁয়াতে লাগল। ও মুখ শুকনো করে সিজানের দিকে ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। সিজানও মনে মনে দোয়া পড়ে বুকে ফুঁ দিলো। এমন বিপদের মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ ছাড়া কোনো উপায় নেই। এক অজানা আকর্ষণে বিমানটি ক্রমশই নিচের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে হুলুস্থুল পড়ে গেল। অনেকেই বেল্ট ছিঁড়ে একে অপরের গায়ে গড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ প্রচণ্ড গতিতে এক যাত্রী ছুটে এসে সিজানের গায়ের পর পড়ল। সিজান বুঝতে পারল আর রক্ষা নেই। আরো পড়ুন
ফসিলটার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সিমন। আশ্চর্য! এমন ফসিল আগে কখনোই কারো হাতে আ... আরো পড়ুন ফসিলটার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সিমন। আশ্চর্য! এমন ফসিল আগে কখনোই কারো হাতে আসেনি। এত বড় দোপেয়ে দৈত্যের আকার-আকৃতি হজম করা যায় না। ভুলটা আসলে ওদেরই... আরো পড়ুন ফসিলটার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সিমন। আশ্চর্য! এমন ফসিল আগে কখনোই কারো হাতে আসেনি। এত বড় দোপেয়ে দৈত্যের আকার-আকৃতি হজম করা যায় না। ভুলটা আসলে ওদেরই। কী দরকার ছিল না জেনেশুনে একটা গ্রহের ওপর লেজার এক্সপেরিমেন্ট করা! পুরো গ্রহটাই ঝলসে গেছে। এখন প্রায় গৃহযুদ্ধের মতো কিছু একটা করে রাজি করানো গেল ব্যুরোকে, যাতে অন্তত পোড়া গ্রহ থেকে ফসিলগুলো বের করা হয়। ক্লোনিং করে জীবন দেয়া গেলেও যেতে পারে। অনেক কিছুকেই বানানো গেছে এই কয়েক বছরে, প্রায় সত্তর প্রজাতির। সিমন খুশি। তাহলে এখন একাত্তর নম্বরটার উদ্ধারে ওর নাম জ্বলজ্বল করবে। দ্রুত পা চালিয়ে চলে গেল সিগনাল রুমের দিকে, খবরটা তাড়াতাড়ি জানাতে হবে ব্যুরোকে। আর সিমনের ঠিক পেছনে, চোখহীন মানুষটার দুটো কোটর যেন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দেখতে থাকে নিজের পোড়া গ্রহটাকে। একা। নিঃসঙ্গ। আরো পড়ুন