জীববিজ্ঞান
একই পরিবারের সদস্য বিশেষ করে ভাই-ভাই, পিতা-পুত্র বা মা-মেয়ের মধ্যে অনেকগুলো সদৃশ... আরো পড়ুন একই পরিবারের সদস্য বিশেষ করে ভাই-ভাই, পিতা-পুত্র বা মা-মেয়ের মধ্যে অনেকগুলো সদৃশ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। অনেক সময় দেখেই বোঝা যায়- আচ্ছা! এই দুই জন তাহলে ভ... আরো পড়ুন একই পরিবারের সদস্য বিশেষ করে ভাই-ভাই, পিতা-পুত্র বা মা-মেয়ের মধ্যে অনেকগুলো সদৃশ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। অনেক সময় দেখেই বোঝা যায়- আচ্ছা! এই দুই জন তাহলে ভাই-ভাই। কিন্তু দুইজন ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য একই রকম হয় কেন? আবার আমরা দেখি কারো মাথায় কোঁকড়া চুল, আবার কারো মাথার চুলের রং সোনালি বা বাদামি। মানুষে মানুষে এই বৈশিষ্ট্যের পার্থক্যের পেছনে কে দায়ী? এক সময় এর উত্তর ছিল আমাদের বংশগতির ধারক বাহক ‘ক্রোমসোম’। পরে জানা গেল, মূলত ক্রোমসোমের মধ্যে ডিএনএ-ই আমাদের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। অবশ্য, এখন আমরা জানি, ডিএনএ এর মধ্যে থাকা আলাদা আলাদা জিন আবার আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী। এই ডিএনএ এবং এর ডাবল হেলিক্স গঠন আবিষ্কারে অবদানের জন্যে প্রাপ্ত নোবেলই আমাদের এ সংখ্যার নোবেলের আলোচ্য বিষয়। আসলে, ব্যাপন বন্ধুদের রসায়ন আর পদার্থবিদ্যায় নোবেলের সাথে পরিচয় করে দেয়া হলেও বাদ পড়ে যাচ্ছিল ফিজিওলজি (Physiology) ব... আরো পড়ুন
অক্টোপাস অনেক সময় দুষ্টুমি করে জেলেদের নৌকা আটকে দেয়। এমনকি তারা কাঁকড়া ঝিনুকের... আরো পড়ুন অক্টোপাস অনেক সময় দুষ্টুমি করে জেলেদের নৌকা আটকে দেয়। এমনকি তারা কাঁকড়া ঝিনুকের খোলস ছাড়িয়ে তাদের মাংস খেয়ে পেটভর্তি করতে পারে। বিভিন্ন পাত্রের ঢাকনা... আরো পড়ুন অক্টোপাস অনেক সময় দুষ্টুমি করে জেলেদের নৌকা আটকে দেয়। এমনকি তারা কাঁকড়া ঝিনুকের খোলস ছাড়িয়ে তাদের মাংস খেয়ে পেটভর্তি করতে পারে। বিভিন্ন পাত্রের ঢাকনা খোলার ব্যবস্থাও এই প্রাণীটির জানা আছে। তোমরা যারা মাধ্যমিকে পড় তারা তো শ্রেণীবিন্যাসের কথা জানো। প্রাণিরাজ্যের অন্তর্গত মোলাস্কা পর্বের অক্টোপাস গনের প্রজাতিসমূহের সাধারণ নাম। এই গনের প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ৩০০। এই প্রজাতিগুলির দেহের আয়তন ছোট বলের আকার থেকে বৃহদাকার তরমুজের মতে হয়ে থাকে। এদের মস্তিষ্ক বেশ সুগঠিত। দেহ থেকে আটটি সর্পিলাকার শুঁড় বের হয়েছে। এগুলোর সাহায্যে অক্টোপাস চলাচল, খাদ্যগ্রহণ, আত্মরক্ষা প্রভৃতি করে থাকে। প্রজাতিভেদে শুঁড়গুলো সাধারণত দৈর্ঘ্যে তিন থেকে দশ হাত পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। এগুলির নিচের দিকে দুই সারিতে অনেকগুলো গোলাকৃতির শোষক থাকে; শিকার ধরার প্রাথমিক পর্যায়ে শোষকগুলিকে শত্রুকে কাবু করার জন্য ব্যবহার করে। এরা মাংস... আরো পড়ুন
মহান সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টি জগতের প্রতিটি সৃষ্টিকেই দিয়েছেন অনন্য বৈশিষ্ট্য যাতে... আরো পড়ুন মহান সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টি জগতের প্রতিটি সৃষ্টিকেই দিয়েছেন অনন্য বৈশিষ্ট্য যাতে এটি তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে সহজেই অভিযোজিত হতে পারে। জোনাকি প... আরো পড়ুন মহান সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টি জগতের প্রতিটি সৃষ্টিকেই দিয়েছেন অনন্য বৈশিষ্ট্য যাতে এটি তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে সহজেই অভিযোজিত হতে পারে। জোনাকি পোকাকে এরকম ভাবে দান করেছেন আলো নিঃসরণের ক্ষমতা। রাতের আঁধারে জোনাকির স্নিগ্ধ আলো যে কারো মনকেই শীতল করে দেবে। কিন্তু কৌতূহলী মন শুধু শীতল থেকেই ক্ষান্ত নয় বরং এই শীতলতার কারণ অন্বেষণে ব্যস্ত। আমরাও আজ সেই কৌতূহলী মনের অন্বেষণ থেকে প্রাপ্ত কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করব। জোনাকি পোকার এই আলো দানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ‘Bioluminescence’ বা জৈব দীপ্তি শব্দটির। কারণ এটাই হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিশেষত জোনাকি পোকা আলো উৎপাদন করে। এটি আবার কেমিলুমিনিসেন্স বা রাসায়নিক দীপ্তির (Chemiluminescence) একটি ধরন। এরকম আলোদানকারী জীবের বিস্তৃতি কতটুকু তা আমাদের সবার আগে জানা প্রয়োজন। অনেকেই ভেবে বসতে পারো শুধু বুঝি জোনাকি পোকাই এ আলো তৈরির বাহাদুরি ক... আরো পড়ুন
আমাদের অনেকেরই ধারণা, ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যেও বিড়াল ভাল দেখতে পায়। কথাটি পুরোপু... আরো পড়ুন আমাদের অনেকেরই ধারণা, ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যেও বিড়াল ভাল দেখতে পায়। কথাটি পুরোপুরি সত্যি নয়! সম্পূর্ণ অন্ধকারের মধ্যে বিড়াল কখনই দেখতে পায় না। তবে স্ব... আরো পড়ুন আমাদের অনেকেরই ধারণা, ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যেও বিড়াল ভাল দেখতে পায়। কথাটি পুরোপুরি সত্যি নয়! সম্পূর্ণ অন্ধকারের মধ্যে বিড়াল কখনই দেখতে পায় না। তবে স্বল্প আলোর মধ্যে এরা আমাদের থেকে বেশ ভাল দেখতে পায়। এপরদিকে, দিনের বেলা, অধিক আলোতে এরা তেমন একটা ভাল দেখতে পায় না! চল জেনে নেই, এর পিছনে রহস্য কী। আমরা জানি, কোন বস্তু থেকে আলো যখন চোখে এসে পড়ে তখন ঐ বস্তুটি দৃশ্যমান হয়। বিড়ালের চোখ তার মাথার আকারের তুলনায় বেশ বড় হয়ে থাকে। তুলনামূলক বড় চোখের মধ্য দিয়ে অনেক বেশি পরিমাণ আলো চোখের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। একারণে অনেক অনুজ্জ্বল বস্তুও তারা ভাল দেখতে পায়। বাইনোকুলারও একইভাবে কাজ করে। বাইনোকুলারের তুলনামূলক বড় লেন্স অনেক বেশি আলো একীভূত করে আমাদের চোখে পাঠায়। তাই আমরা অনুজ্জ্বল এমনকি অদৃশ্য তারাগুলোকেও ভাল দেখতে পাই! আরো পড়ুন
জাতীয় দৈনিকগুলিতে এমন শিরোনামের খবরই ছাপা হয়েছে কিছুদিন আগে । কিন্তু প্রশ্ন হল জ... আরো পড়ুন জাতীয় দৈনিকগুলিতে এমন শিরোনামের খবরই ছাপা হয়েছে কিছুদিন আগে । কিন্তু প্রশ্ন হল জীবের জীবনরহস্য আসলে কীভাবে উদ্ঘাটন করা হয় ? আর ইলিশ মাছের জীবনরহস্য ঘ... আরো পড়ুন জাতীয় দৈনিকগুলিতে এমন শিরোনামের খবরই ছাপা হয়েছে কিছুদিন আগে । কিন্তু প্রশ্ন হল জীবের জীবনরহস্য আসলে কীভাবে উদ্ঘাটন করা হয় ? আর ইলিশ মাছের জীবনরহস্য ঘেটেই বা কি হবে? মাথায় ঘুরতে থাকা এই কৌতূহল থেকেই লিখতে বসলাম । এসো প্রথমেই জেনে নিই “ জীবন রহস্য “ উদ্ঘাটনে সুনির্দিষ্ট কোন বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করা হয়। জীবনরহস্য উদ্ঘাটনে জীবের Genome sequencing জানার চেষ্টা করা হয় । জিনোম হচ্ছে কোন জীবের পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। অর্থাৎ, এর জীবনচক্রের প্রতিটি ধাপে যত কার্যক্রম রয়েছে সেগুলি পরিচালনার জন্যে যে নির্দেশনা প্রয়োজন তার সংরক্ষণস্থল । উদাহরণস্বরূপ, জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াসহ জৈবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় জিনোমের মাধ্যমে। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, জিনোম DNA ( Deoxyribonucleic Acid ) বা RNA ( Ribonucleic Acid ) দিয়ে গঠিত। ইলিশের জিনোমে ৭৬ কোটি ৮০ লাখ Nucleotide রয়েছে য... আরো পড়ুন
সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন এইচআইভি, ইবোলা, জিকা ভাইরাসের মত সংক্রাম... আরো পড়ুন সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন এইচআইভি, ইবোলা, জিকা ভাইরাসের মত সংক্রামক ভাইরাস ছাড়াও আরো মারাত্মক ভাইরাস আছে যা মানবজাতির জন্য আগামী দিনে হু... আরো পড়ুন সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন এইচআইভি, ইবোলা, জিকা ভাইরাসের মত সংক্রামক ভাইরাস ছাড়াও আরো মারাত্মক ভাইরাস আছে যা মানবজাতির জন্য আগামী দিনে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেগুলো নিয়েই আজকে কথা বলবো। সবচেয়ে বিপজ্জনক ভাইরাসদের মধ্যে অন্যতম মারবুর্গ ভাইরাস। লাহন নদীর কাছে একটি ছোট এবং আড়ম্বরপূর্ণ শহরের নাম অনুসারে ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়। মারবুর্গ ভাইরাস হেমোরেজিক ফিভার ভাইরাস। ইবোলার মতোই মারবুর্গ ভাইরাসটি শ্বাস-প্রশ্বাসের ঝিল্লি, ত্বক ও অঙ্গগুলির রক্তপাত এবং আক্রমণের কারণ। এতে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে। ইবোলা ভাইরাসের পাঁচটি স্ট্রেন আছে। আফ্রিকার দেশ এবং অঞ্চলের নামানুসারে এদের নামকরণ করা হয়েছে: জারে, সুদান, তাইওয়ান, বান্ডিবগিও এবং রেস্টন। Zaire ebolavirus ভাইরাসটি সবচেয়ে মারাত্মক, যাতে মৃত্যুহার শতকরা ৯০ ভাগ। এটি বর্তমানে গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে র... আরো পড়ুন
গত পর্ব যারা পড়েছ, রাজকীয় পতঙ্গের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। আর রাস্তায় বা গাছে উঠা শা... আরো পড়ুন গত পর্ব যারা পড়েছ, রাজকীয় পতঙ্গের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। আর রাস্তায় বা গাছে উঠা শামুক এবং কিলিফিসকে তো ভুলবার নয়। সবই কিন্তু স্রষ্টার দেয়া নিয়ম। এভাবেই... আরো পড়ুন গত পর্ব যারা পড়েছ, রাজকীয় পতঙ্গের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। আর রাস্তায় বা গাছে উঠা শামুক এবং কিলিফিসকে তো ভুলবার নয়। সবই কিন্তু স্রষ্টার দেয়া নিয়ম। এভাবেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে জীবজগৎ যুগযুগ ধরে চলে আসছে। আমরা হয়ত এসব চিন্তাই করি না। যাই হোক আমরা আজ নতুন কিছু জানব। আশা করি ভালই লাগবে। আর গত সংখ্যার ধারাবাহিকতায় আজকের আয়োজন। ভয়ঙ্কর সব ঘটনা ছোট প্রাণী দিয়ে শুরু করা যাক কেমন! তোমরা হয়ত সকলে জান, “পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে।” তবে পিপীলিকার পাখা নিয়ে অনেক জানার আছে। এটা নিয়ে পরের কোন সংখ্যায় বিশদভাবে জানব। পিঁপড়া প্রায় প্রতিদিনেই কোন না কোনভাবে আমাদের চোখে পড়ে। এই পিঁপড়া যখন নিজের মৃত্যুকে ডেকে আনে, কেমন লাগে বল তো! তাহলে এখন দেখি পিঁপড়ার মস্তিষ্ককে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যার দরুন পিঁপড়া নিজে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। আরো পড়ুন
সমুদ্রের অথৈ নীল জলরাশির তীরে সাদা বালিয়াড়ীতে পড়ে থাকা ঝিনুক সাগরসৈকতের সৌন্দর্য... আরো পড়ুন সমুদ্রের অথৈ নীল জলরাশির তীরে সাদা বালিয়াড়ীতে পড়ে থাকা ঝিনুক সাগরসৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। কিংবা কোন চপল বালিকার গলায় মালা হয়ে শোভা পায় ঝিনুকগুচ্ছ,... আরো পড়ুন সমুদ্রের অথৈ নীল জলরাশির তীরে সাদা বালিয়াড়ীতে পড়ে থাকা ঝিনুক সাগরসৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। কিংবা কোন চপল বালিকার গলায় মালা হয়ে শোভা পায় ঝিনুকগুচ্ছ, যা তার কণ্ঠের শোভাবর্ধন করে। তবে ঝিনুকের মূল আবেদন এর বুকে লুকিয়ে থাকা মুক্তায়। মুক্তার উজ্জ্বলতা এবং চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের নজর কেড়েছে। ধাতুর মতো চাকচিক্য আর বাহারী রঙের কারণে মুক্তা মানবসমাজে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। নিজ গুণের বদৌলতে মুক্তা হয়ে উঠেছে অপার সৌন্দর্য আর দুর্লভ ও মূল্যবান সম্পদের উপমা। হয়ে উঠেছে সমাজের আভিজাত্য ও প্রাচুর্যের প্রতীক। মানবসভ্যতায় মুক্তার এতই গুরুত্ব, এতই মাহাত্ম্য। মুক্তা নিয়ে তোমরাও নিশ্চয়ই নানা কথা শুনেছো। কেউ কেউ চোখেও দেখেছো। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছো মুক্তা আসলে কী? এটি কী দিয়ে তৈরি? কীভাবে তৈরি হয় এই আজব বস্তুটি? আরো পড়ুন
পঞ্চম পর্বে এসে ভাবছিলাম একটু বিশ্রাম নিবো। কিন্তু না তা আর হলো কই। নাছোড়বান্দা... আরো পড়ুন পঞ্চম পর্বে এসে ভাবছিলাম একটু বিশ্রাম নিবো। কিন্তু না তা আর হলো কই। নাছোড়বান্দা সহকারি সম্পাদক সাহেবের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে লিখতে বসে গেলাম। তোমরা পূর্ব... আরো পড়ুন পঞ্চম পর্বে এসে ভাবছিলাম একটু বিশ্রাম নিবো। কিন্তু না তা আর হলো কই। নাছোড়বান্দা সহকারি সম্পাদক সাহেবের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে লিখতে বসে গেলাম। তোমরা পূর্বের একটি সংখ্যায় ইঁদুর-বিড়ালের মধ্যে বন্ধুত্ব নিয়ে পড়েছিলে। মনে না থাকলে একটু দেখে নিতে পারো। গতসংখ্যায় দেখেছি ফিতা কৃমি গরু ও শুকরের মাংসে পাওয়া যায়। গরুর তুলনায় শুকরের মাংসে বেশি পরিমাণে থাকে। এছাড়াও শুকরের মাংসে আরো অনেক পরিমাণে পরজীবী বাস করে। এসব পরজীবী প্রত্যেকেটিই মানুষের জন্য ভয়ানক সব রোগ বহন করে থাকে। আমরা শুকর নিয়ে পরবর্তীতে পূর্ণ একসংখ্যা লিখবো। আজ বিড়াল ও কুকুর বা পশমাবৃত প্রাণি ও রঙিন গোবরে পোকা সম্পর্কে জানা যাক। বিড়ালকে আমরা বেশিরভাগ মানুষই পছন্দ করি। বিড়ালের মস্তিষ্ক নিয়ে লেখার সময় একটি নাম মনে পড়লো। তিনি একজন সাহাবী হযরত আবু হুরায়রাহ (রাঃ)। যাকে বিড়ালের পিতা বলা হয়। আরো পড়ুন
তোমাদের মনে অবশ্যই প্রশ্ন দানা বেঁধে আছে! আমাদেরকে কে নিয়ন্ত্রণ করবে? হ্যাঁ, বন্... আরো পড়ুন তোমাদের মনে অবশ্যই প্রশ্ন দানা বেঁধে আছে! আমাদেরকে কে নিয়ন্ত্রণ করবে? হ্যাঁ, বন্ধুরা এ পর্বেই তা থাকছে। আর তোমাদের হয়তো মৌমাছিসহ গত পর্বের মস্তিষ্ক দখ... আরো পড়ুন তোমাদের মনে অবশ্যই প্রশ্ন দানা বেঁধে আছে! আমাদেরকে কে নিয়ন্ত্রণ করবে? হ্যাঁ, বন্ধুরা এ পর্বেই তা থাকছে। আর তোমাদের হয়তো মৌমাছিসহ গত পর্বের মস্তিষ্ক দখলকারী পরজীবীদের কথা মনে আছে। এ পর্বেও নতুন কিছু থাকছে। যা তোমাদের জানার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিবে। সৃষ্টির সেরা জীবকে পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে কেউ না পারলেও আংশিক করে থাকে। আজ তা নিয়ে আলোচনা করবো। তোমরা তো অবশ্যই প্রজাপতি অনেক পছন্দ করো তাই না! আজ প্রজাপতির গল্প শুনাই। কিছু প্রজাপতি তাদের বংশবৃদ্ধির জন্য শুঁয়োপোকাকে বেছে নেয়। প্রজাপতির ডিম গাছের কাণ্ডে বা পাতায় ছড়িয়ে রাখে। এসব ডিম শুঁয়োপোকা খাদ্য হিসাবে খেয়ে ফেলে। এই ডিম শুঁয়োপোকার পেটে মথে পরিণত হয়। মথগুলো একধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত করে। শুঁয়োপোকাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে মথগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে। আরো পড়ুন
আজকে আমরা কিছু উন্নত প্রাণীর মস্তিষ্ক দখল সম্পর্কে জানবো। লেখার শুরুতে কিছু গুরত... আরো পড়ুন আজকে আমরা কিছু উন্নত প্রাণীর মস্তিষ্ক দখল সম্পর্কে জানবো। লেখার শুরুতে কিছু গুরত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেই। নিউরো-প্যারাসিটিলজি বিজ্ঞানের একটি উদীয়মান শাখ... আরো পড়ুন আজকে আমরা কিছু উন্নত প্রাণীর মস্তিষ্ক দখল সম্পর্কে জানবো। লেখার শুরুতে কিছু গুরত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেই। নিউরো-প্যারাসিটিলজি বিজ্ঞানের একটি উদীয়মান শাখা। এই শাখায় পরজীবীগুলো তাদের পোষকের স্নায়ুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কি অবিশ্বাস্য, তাই না! মনে করো তোমার একটি মটর গাড়ি আছে। এটা শুধু রাস্তায় চলাচল করতে পারে। তুমি যে শহরে আছো হঠাৎ লোকসংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে গেলো। রাস্তা ঢাকা শহর থেকে আরো খারাপ হয়ে গেলো। যানবাহনের গতি প্রতি ঘন্টায় ২ কিলোমিটার। যেখানে বর্তমান ঢাকায় যানবাহনের গতি ঘন্টায় ৬ কিলোমিটার। তোমার কি করা উচিৎ? আমি জানি না তুমি কি করবে। আরো পড়ুন
আমরা ছোট বেলায় ঘুম পাড়ানি গান শুনেছি, নিশ্চয়ই। কিন্তু এ ঘুমের সাথে মস্তিষ্কের কো... আরো পড়ুন আমরা ছোট বেলায় ঘুম পাড়ানি গান শুনেছি, নিশ্চয়ই। কিন্তু এ ঘুমের সাথে মস্তিষ্কের কোন সম্পর্ক আছে কি? উত্তরে অবশ্যই, হ্যাঁ। ঘুম কি মানুষকে অলস করে? না, আল... আরো পড়ুন আমরা ছোট বেলায় ঘুম পাড়ানি গান শুনেছি, নিশ্চয়ই। কিন্তু এ ঘুমের সাথে মস্তিষ্কের কোন সম্পর্ক আছে কি? উত্তরে অবশ্যই, হ্যাঁ। ঘুম কি মানুষকে অলস করে? না, আলস্য মানুষকে বেশি বেশি ঘুমকাতুর করে তোলে! কোনটা সঠিক? এসব নিয়ে ভেবে দেখেছো কি? দেখলে ভালো। না ভেবে থাকলে চিন্তা করে দেখতে পারো। ঘুমে মানুষের মৃত্যু ঘটে, আজ তা নিয়ে জানাবো। আশা করি মস্তিষ্ক দখলের বিষয় এতে জড়িত কি না, অনুসন্ধিৎসু মনকে সেটি জানাতে পারবে। এছাড়াও শুকরের মাংসের পরজীবী সম্পর্কে কথা থাকবে। শুরু করা যাক। আফ্রিকা মহাদেশের একজাতীয় কীটপতঙ্গ আছে। যারা ট্রাইপ্যানোসোমা (Trypanosoma) নামক পরজীবী বহন করে থাকে। আফ্রিকার মাছি জাতীয় পতঙ্গ এ জাতীয় পরজীবী বহন করে থাকে। এসব পরজীবী মাছির উদরে অবস্থান নেয়। খুব দ্রুত জটিল যৌগ গঠন করে। পরজীবীর মস্তিষ্কে ছড়িয়ে যায়। পরজীবীগুলো মাছিকে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের লালা বা রক্তের জন্য উত্তেজিত করে তোলে। আরো পড়ুন
শুরু করার আগে গত সংখ্যার কিছু ঘটনা একটু মনে করে দেখো। ঝিঝি পোঁকার আত্মহত্যা, পিপ... আরো পড়ুন শুরু করার আগে গত সংখ্যার কিছু ঘটনা একটু মনে করে দেখো। ঝিঝি পোঁকার আত্মহত্যা, পিপীলিকার অপমৃত্যু, সামুদ্রিক মাছের জিহ্বা হারিয়ে যাওয়া, মাশরুমের বংশবৃদ্... আরো পড়ুন শুরু করার আগে গত সংখ্যার কিছু ঘটনা একটু মনে করে দেখো। ঝিঝি পোঁকার আত্মহত্যা, পিপীলিকার অপমৃত্যু, সামুদ্রিক মাছের জিহ্বা হারিয়ে যাওয়া, মাশরুমের বংশবৃদ্ধি, ইঁদুর বিড়ালের বন্ধুত্ব, ব্যাঙের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সব কিছুই কেমন মনে হয়েছে তাই না! কিন্তু যারা মস্তিষ্ক দখল করছে তাদের কথা চিন্তা করলে কি মনে হয়? তাদের তো বংশবৃদ্ধি করতে হয়। এসব পরজীবী প্রকৃতির অংশ, তাই না? তবে তাদের কার্যক্ষমতা আমাদেরকে তাক লাগিয়ে দেয়। একজন অন্ধ মানুষের কথা চিন্তা করো, তার শ্রবণ-শক্তি কত প্রখর? তার চলাফেরা দেখে বুঝা যায়। চোখ বন্ধ করো তো। কেমন এই অনুভুতি? কেমন মনে হয়? যাইহোক, এই মহাবিশ্ব এমন একজন আছেন যিনি এসব কিছু ভারসাম্যপূর্ণ করে তৈরি করেছেন। ছোটবেলায় নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের ‘কাজের লোক’ কবিতায় পড়েছি- আরো পড়ুন
বন্ধুরা, তোমাদের একটি সত্য গল্প বলি। উনিশ শত ছিয়ানব্বই সালের শেষের দিকে জাপানের... আরো পড়ুন বন্ধুরা, তোমাদের একটি সত্য গল্প বলি। উনিশ শত ছিয়ানব্বই সালের শেষের দিকে জাপানের সুকুবাতে সুমিও ইজিমা নামের একজন গবেষক এনইসি ল্যাবরেটরিতে কাজ করতেন। তি... আরো পড়ুন বন্ধুরা, তোমাদের একটি সত্য গল্প বলি। উনিশ শত ছিয়ানব্বই সালের শেষের দিকে জাপানের সুকুবাতে সুমিও ইজিমা নামের একজন গবেষক এনইসি ল্যাবরেটরিতে কাজ করতেন। তিনি কার্বন এর যৌগ গ্রাফাইট বা পেন্সিলের কালি (তোমরা যা ব্যবহার করেছ বা করো) নিয়ে বিভিন্ন বিক্রিয়া করতেন। একদিন তিনি ল্যাবরেটরিতে পাশাপাশি দুটি গ্রাফাইট রড নিস্ক্রিয় গ্যাস হিলিয়ামের মধ্যে রেখে তড়িৎ ক্ষরণ ঘটান। যার ফলে রডগুলো উত্তপ্ত হয়ে বাষ্পীভূত হতে থাকে। এক সময় গ্যাস চেম্বারের গায়ে অধঃক্ষেপ পড়তে শুরু করে। তিনি নিজেও জানতেন না আসলে কী উৎপন্ন হতে যাচ্ছে? তিনি ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপে দেখলেন অধঃক্ষেপটি আর কিছু নয়। কিছু পাতলা ও লম্বাটে গঠনের সমন্বয়। এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লম্বা গঠনগুলো একটির ভিতরে অন্যটি সেঁটে থাকে। দেখতে অনেকটা পুতুলের মত। এটি বিজ্ঞানী মহলকে কার্বন এর নতুন রূপ হিসেবে জানান দেয়। আর ইজিমার এ তন্তুগুলোর নাম দেয়া হল ন্যানোটিউব। আরো পড়ুন
কখনো কি ভেবে দেখেছো, তোমার এ সুন্দর দেহ কী কী উপাদান দিয়ে গঠিত। শুনলে হয়তো অবাকই... আরো পড়ুন কখনো কি ভেবে দেখেছো, তোমার এ সুন্দর দেহ কী কী উপাদান দিয়ে গঠিত। শুনলে হয়তো অবাকই হবে, এর ৬৫ শতাংশেরও বেশি পানি! তবে মৌলিক পদার্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আ... আরো পড়ুন কখনো কি ভেবে দেখেছো, তোমার এ সুন্দর দেহ কী কী উপাদান দিয়ে গঠিত। শুনলে হয়তো অবাকই হবে, এর ৬৫ শতাংশেরও বেশি পানি! তবে মৌলিক পদার্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে অক্সিজেন। চলো দুপ্রকার পদার্থ সম্পর্কেই বিস্তারিত জেনে নিই। আরো পড়ুন