বিজ্ঞান
ব্যাপন ডেস্ক
১২ আগস্ট ২০১৫৭ মিনিট
| শাহিদ |
বিজ্ঞানের জাদুর ভূবনে স্বাগতম। ব্যাপন ম্যাজিকে থাকবে বাসায় করার উপযোগী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সিলেবাসের আওতাভুক্ত পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গনিতের নানান মজার মজার ম্যাজিকাল এক্সপেরিমেন্ট।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী হতে চাও! তাহলে, ব্যাপন মাজিকগুলো তোমার বাসায় ট্রাই কর। আর ম্যাজিক দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দাও বন্ধুদের।
১। বইয়ের শক্তিঃ গুণীজনেরা বলেন, “অসির চেয়ে মসি বড়”। অর্থাৎ, অস্ত্রের চেয়েও লেখনী শক্তিশালী। এই অন্তর্নিহিত অর্থে নয়, বরং আজ আমরা দেখব বইয়ের বাহ্যিক শক্তির একটি বাস্তব উদাহরণ।
যা লাগবেঃ একই আকার আকৃতির দুইটি বই।
একই আকার আকৃতির যেকোন দুইটি বই নাও
চিত্রের মত করে একটি বইয়ের অল্প কিছু পাতার উপর অপর বইয়ের কিছু পাতা রাখ
বইদুটোর বাকি পাতাগুলোকেও এভাবে করে সাজাও
সঠিকভাবে সাজাতে পারলে উপর থেকে চিত্রের মত দেখাবে
এবার দুইদিক থেকে যত জোরে ইচ্ছে যতজন ইচ্ছে টান। কি আলাদা করতে পারলে? জানি পারবে না।
এমনই একটি পরীক্ষা করেছিল ডিসকভারী চ্যানেলের একটি দল। চার-পাঁচজন মিলে ২০০ কেজি ওজনের বল দিয়েও তারা আলাদা করতে পারেনি বই দুটোকে। এরপর গাড়ি দিয়ে শেষ চেষ্টা চালায়। শেষমেশ ৬১৫ কেজি ওজনের বলে একটি বই ছিঁড়ে যায়। তবে বই দুটির মধ্যখান না বরং একটি বইয়ের একপাশ ছিঁড়েছিল।
ডিসকভারী চ্যানেলের ঐ ভিডিওটি দেখতে ভিজিট করোঃ https://www.facebook.com/ByaponSM
আসো জানি, কেন বই দুটোকে আলাদা করা যাচ্ছে না।
বইদুটি আলাদা না হওয়ার মূল কারন হল ঘর্ষন বল। একটি তল যখন আরেকটি তলের উপর চলতে চায়, তখন তলদ্বয়ের স্পর্শতলে বলের বিপরীতে ঘর্ষন বল কাজ করে। এই ঘর্ষন বল বস্তুকে চলতে বাধা দেয়। আমরা যখন দুটি বইয়ের পৃষ্ঠাগুলোকে কিছু কিছু করে একে অপরের উপর রেখেছিলাম, তখন অসংখ্য ঘর্ষন তল তৈরী হয়েছিল। যারা বইদুটিকে আলাদা হতে বাধা দিচ্ছিল। আমরা বাইরে অনেক বড় মানের বল দিলেও তা ভাগ হয়ে এসব তলে অনেক ক্ষুদ্র আকারে কাজ করছিল, যা তলদুটিকে আলাদা করার মত যথেষ্ট ছিল না।
০২। পানির পরিচলন ম্যাজিকঃ আমরা জানি, পানিতে পরিচলন পদ্ধতিতে উচ্চ তাপমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন তাপমাত্রার স্থানে পানি কণার সাথে সাথে তাপ পরিবাহিত হয়। পানির পরিচলন পদ্ধতির একটি ম্যাজিক আমরা দেখব।
যা লাগবেঃ দুটি গ্লাস/জার, গরম পানি, ঠাণ্ডা পানি, যেকোন দুই কালারের খাবার রং, পানি, শক্ত প্ল্যাস্টিক কার্ড।
প্রথমে দুইটি জারে যথাক্রমে ঠাণ্ডা ও গরম পানি পূর্ণ করে ঢাল। এরপর গরম জারে যেকোন একটি রং যেমন- লাল রং মেশাও।
এরপর ঠাণ্ডা জারে লাল ভিন্ন অন্য রং যেমন, নীল রং মেশাও।
এবার গরম পানির জারকে নিচে রেখে ঠাণ্ডা পানির জারের উপর প্ল্যাস্টিক কার্ড দিয়ে তা উল্টিয়ে গরম পানির জারের উপরে রাখ।
এখন আস্তে আস্তে সাবধানে প্ল্যাস্টিক কার্ডটি টেনে নাও।
দেখ! নিমিশেই লাল রঙের গরম পানি ও নীল রঙের ঠাণ্ডা পানি মিশে নতুন রঙ এর পানি তৈরী করেছে। উপরের ঠাণ্ডা জারের পানিতে হাত দিয়ে দেখ, জারটি গরম অনুভূত হচ্ছে। অর্থাৎ নিচের গরম পানির কণাগুলো উপরে জারে পরিচলন পদ্ধতিতে চলে এসেছে।
এবার উল্টোটা কর। ঠাণ্ডা পানি নিচে এবং গরম পানি উপরে দাও। তারপর আস্তে আস্তে কার্ডটি সরিয়ে নাও।
আশ্চর্য্য, ঠাণ্ডা ও গরম পানি মিশছে না। দুটি ভিন্ন রঙের পানির স্তর পরিষ্কারভাবে আলাদা হয়ে আছে।
খুব কাছে গিয়ে লক্ষ্য কর, দুই রঙের পানি একটা সূক্ষ্ম পর্দাতলে আলাদা হয়ে আছে।
একনজরে আবার যদি দেখি, একবার গরম পানি নিচে ও ঠাণ্ডা পানি উপরে নিলাম। আরেকবার ঠান্ডা পানি নিচে ও গরম পানি উপরে নিলাম।
প্রথমক্ষেত্রে, পানি মিশে গেল। কিন্তু দ্বিতীয়ক্ষেত্রে, পানি স্তর আলাদা হয়ে থাকল। বিষয়টা বেশ মজার না!
ম্যাজিকটির ভিডিও দেখতে ভিজিট করোঃ https://www.facebook.com/ByaponSM
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কুইজঃ একজন ক্ষুদে বিজ্ঞানী হিসেবে তোমাকে এখন বলতে হবে,কেন গরম পানি উপরে রাখলে তা ঠাণ্ডা পানির সাথে মেশে না?
অনূর্ধ ১৫০ শব্দে পরীক্ষাটির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা লিখে পাঠাও [email protected]এই মেইলে অথবা ব্যাপনের ঠিকানায় আর জিতে নাও আকর্ষনীয় প্রাইজ।
পরবর্তী সংখ্যায় উত্তরদাতা সহ উত্তর ছাপানো হবে। উত্তরদাতার জন্য থাকবে আকর্ষনীয় গিফট।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ প্লিজ ট্রাই অল দিস অ্যাট ইয়োর হোম