।যোবায়ের ঋদ্ধি।
ফসিলটার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সিমন। আশ্চর্য! এমন ফসিল আগে কখনোই কারো হাতে আসেনি। এত বড় দোপেয়ে দৈত্যের আকার-আকৃতি হজম করা যায় না।
ভুলটা আসলে ওদেরই। কী দরকার ছিল না জেনেশুনে একটা গ্রহের ওপর লেজার এক্সপেরিমেন্ট করা! পুরো গ্রহটাই ঝলসে গেছে।
এখন প্রায় গৃহযুদ্ধের মতো কিছু একটা করে রাজি করানো গেল ব্যুরোকে, যাতে অন্তত পোড়া গ্রহ থেকে ফসিলগুলো বের করা হয়। ক্লোনিং করে জীবন দেয়া গেলেও যেতে পারে।
অনেক কিছুকেই বানানো গেছে এই কয়েক বছরে, প্রায় সত্তর প্রজাতির। সিমন খুশি। তাহলে এখন একাত্তর নম্বরটার উদ্ধারে ওর নাম জ্বলজ্বল করবে। দ্রুত পা চালিয়ে চলে গেল সিগনাল রুমের দিকে, খবরটা তাড়াতাড়ি জানাতে হবে ব্যুরোকে।
আর সিমনের ঠিক পেছনে, চোখহীন মানুষটার দুটো কোটর যেন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দেখতে থাকে নিজের পোড়া গ্রহটাকে।
একা। নিঃসঙ্গ।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০১৯। বর্ষ ৪। সংখ্যা ৫
No Comment