| খালেদুর রহমান শুভ |

১। হাঁস শিকারঃ

একজন গণিতবিদ, একজন পদার্থবিদ আর একজন পরিসংখ্যানবিদ শিকারে গিয়ে একটি হাঁস টার্গেট করলো।

গণিতবিদ প্রাসের সূত্র প্রয়োগ করে পাওয়া হিসেবে গুলি ছুড়লো, বাতাসের বাধা হিসাব না করায় গুলি দুই ইঞ্চি পেছনে পড়লো।

এরপর পদার্থবিদ বাতাসের বাধা হিসাব করে গুলি ছুড়লো, কিন্তু হাঁসটি ভয় পেয়ে সরে যাওয়ায় গুলি দুই ইঞ্চি সামনে পড়লো।

এটি দেখে পরিসংখ্যানবিদ দুটির গড় হিসাব করে বললোঃ

“হুররে… আর গুলি করা লাগবে না, গড় হিসাবে আমরা শিকার করতে সক্ষম হয়েছি!”

[+২ -২ এর গড় ০]

২। পাঁচের মধ্যে চারঃ

ছাত্রঃ স্যার, অনেক কিছুই তো দেখলাম, কিন্তু আমি একটা জিনিস আবিষ্কার করেছি।

শিক্ষকঃ (তাচ্ছিল্যের সাথে) আচ্ছা? তা কি সেটা?

ছাত্রঃ স্যার, পাঁচের মধ্যে চার লেখা যায়।

শিক্ষকঃ অসম্ভব, না মুছে কোনভাবেই সম্ভব না।

ছাত্রঃ (লিখে) স্যার F (iv)  e

৩। পানি বিশুদ্ধকরনঃ

শিক্ষক ক্লাসে পড়াচ্ছেন পানি বিশুদ্ধকরণ পদ্ধতি। এমন সময় এক ছাত্র প্রশ্ন করলো।

ছাত্রঃ স্যার এইভাবে পানি বয়েল করলে পানির সব জীবাণু মরে যাবে?

শিক্ষকঃ ৯৯% জীবাণুই মরে যায়। পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়।

ছাত্রঃ কিন্তু স্যার আর ১% কেন মরে না?

শিক্ষকঃ ওটাকে ছেড়ে দেয়া হয় যাতে করে পালিয়ে গিয়ে সবাইকে সতর্ক করতে পারে পানি দূষিত না করতে।

৪। tang:

ছেলে বাসায় এসে বললো-

ছেলেঃ মা, খুব পিপাসা পেয়েছে!

মাঃ পড়াশুনা না করে বাইরে এতো দৌড়াদৌড়ি করলে তো পিপাসা পাবেই।

ছেলেঃ ঠান্ডা   দাও তো মা!

মাঃ মানে কি?

ছেলেঃ ত্রিকোণমিতি! tang দাও।

৫। তেল ছাড়া গাড়িঃ

ছাত্রঃ স্যার, আমি কোন প্রকার তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ছাড়াই গাড়ি চালানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলেছি!

শিক্ষকঃ আচ্ছা, তো কিভাবে সেটা?

ছাত্রঃ খুবই সোজা ব্যাপার স্যার। একটা বড় চুম্বক গাড়ি থেকে সামনে ফিক্স করে দিলেই, চুম্বকের টানে সামনে যেতেই থাকবে, যেতেই থাকবে। ধরতে আর পারবেনা ! অনেকটা গাধার সামনে মুলা ঝুলানোর মত।

শিক্ষকঃ আচ্ছা, ভালো তো! তাহলে এই গাড়িতে পরীক্ষাটা করা যাক।

গাড়িতে চুম্বক লাগিয়ে একটু এদিক ওদিক পরীক্ষা করতে গিয়েই হঠাৎ দেখা গেল, এক চলন্ত ট্রাকের সাথে চুম্বক আটকে পড়েছে আর গাড়ি তার পিছনে পিছনে যাচ্ছে!