।আশরাফ পিন্টু।

-জ্যামাইকায় তো বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের কাছ দিয়ে যেতে হয়, তাই না?

-হ্যাঁ, কিন্তু হঠাৎ এ কথা কেন?

সিজানের কথায় কম্পিউটার মনিটর থেকে মুখ ঘুরিয়ে বলল সহপাঠী জনসন।

আপনার প্রিয় ব্যাপন ম্যাগাজিনটি সংগ্রহ করতে এখানে ক্লিক করুন

-ওখানে একটা সেমিনার আছে। নাসার তরুণ বিজ্ঞানীদের মধ্যে বোধ হয় আমাকেই যেতে হবে।

-তাই নাকি! আর কে কে যাচ্ছে?

-তোমার নামও আছে।

-বল কি! আগে বলনি কেন?

-এইমাত্র সার্চ করে শিওর হলাম।

-আমি কি তোমার মতো এত ট্যালেন্ট? তুমি এত অল্প বয়সে যে নাম করেছ, তোমার মত হতে হলে আমার আরো এক যুগ লাগবে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বিজ্ঞানীদের মধ্যে তো তুমিই সেরা।

-না, আরো একজন আছে।

– কে সে?

-সেলিম শাহরিয়ার।

-হ্যাঁ, ওনাকেও চিনি। উনি তো আমাদের অগ্রজ।

-এখন আসল কথায় আসি। আগামী মঙ্গলবার আমাদের রওনা হতে হবে জ্যামাইকার উদ্দেশ্যে।

-কয়টার ফ্লাইট?

-দাঁড়াও, ভালো করে সার্চ দিয়ে দেখে নিই। সিজান আবার কম্পিউটারে মনোযোগী হয়।

সিজানের পুরো নাম মোসাদ্দেক হোসেন সিজান। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত তরুণ মেধাবী বিজ্ঞানী। বাবা-মা দুজনেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার বছরখানেক পূর্বে ওরা আমেরিকাতে আসে। আর বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া হয়নি।

সিজান মনিটর থেকে মুখ তুলে বলে,

-হ্যাঁ, আগামী মঙ্গলবার রাত দশটার ফ্লাইটে আমরা জ্যামাইকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছি। প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র আমরা কালকের মধ্যেই সংগ্রহ করে নেব।

-বুঝলাম সব, কিন্তু ওখানে সেমিনারটা কিসের উপর?

-বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য উদ্‌ঘাটন সম্পর্কে।

-ও তো অত্যন্ত দূরহ ব্যাপার! অনেক বড় বড় বিজ্ঞানী এর রহস্য উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করেছেন, অনেক লেখক এ সম্পর্কে অনেক বইও লিখেছেন। কিন্তু এর রহস্য তিমিরেই রয়ে গেছে।

-দেখ, পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। আজ যা অসম্ভব দুদিন পরেই তা সম্ভব। এক সময় চাঁদে যাওয়া অসম্ভব ছিল, এখন তা সম্ভব হয়েছে। এই সেমিনারের পরই তোমার বা আমার পিএইচডি থিসিসের শিরোনাম নির্ধারণ হবে।

-এ ব্যাপারে আমি তো তোমার চেয়ে অনেক অজ্ঞ।

-এত ভয় পাচ্ছ কেন ফ্রেন্ড!

-না, ঠিক তা নয়…চল এখন উঠি, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের উপর আরো কিছু বই কিনতে হবে।

-হ্যাঁ। চল সব গুছিয়ে নেই।

ডিসি-১৩ বিমানটি নিউইয়র্ক থেকে রাত দশটা পাঁচ মিনিটে জ্যামাইকার উদ্দেশ্যে উড়াল দিল। বিমানটি তেমন বড় নয়। যাত্রী আছে মোট ৭১ জন। জানালার কাঁচ দিয়ে বাহিরে চোখ রাখল সিজান।

আলো ঝলমলে নিউইয়র্ক শহরটি চোখের পলকে নেই হয়ে গিয়েছে। বাহিরে অসীম শূন্যতা। মেঘমুক্ত নীলাকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজি ছাড়া তেমন কিছু চোখে পড়ছে না। হঠাৎ দূরে একটা অভিনব আলোকচ্ছটা দেখে সিজান পাশে বসা জনসনকে উদ্দেশ্য করে বলল,

-জন, দেখ! দেখ! কী সুন্দর একটা আলোর কুণ্ডলী। কোনো উত্তর না পেয়ে সিজান জনের মুখের দিকে তাকাল। দেখল ও ঘুমে বিভোর। এত অল্প সময়েই ঘুমিয়ে পড়ল ছেলেটা? সিজান বিরস বদনে পুনরায় জানালার দিকে চোখ ফেরাল।

নিঃসীম রাতের অন্ধকারের মধ্য দিয়ে ডিসি-১৩ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সিজান লক্ষ্য করল লোকালয়গুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। কোথাও লোকালয়ের কোনো আলো চোখে পড়ছে না। নিচের দিকে ভালো করে নজর দিয়ে দেখল, নিচে বিশাল কালো জলরাশি। ও বুঝতে পারল আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে ওরা ছুটে চলছে।

ডিসি-১৩  চলছে তো চলছেই। কোনো কুল-কিনারা নেই। সিজানের ঘুম চলে আসছিল। পাশে বসা জনসন নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে। হঠাৎ জানালা দিয়ে বিদ্যুৎচ্ছটা চোখে পড়তেই চমকে উঠল সিজান। দেখল সাগরের ওপর ঘন কালো মেঘ থেকে উজ্জ্বল কয়েকটি সাদা আলোকচ্ছটা ঠিকরে পড়ছে চারিদিকে। 

আলোগুলো নিভে যাওয়ার পর পরই কেমন গুমোট অন্ধকারে ছেয়ে গেল চারিদিক। একটু পরেই স্পিকারে ভেসে এলো, সাইক্লোন হবার সম্ভাবনা আছে। আপনারা সকলেই সতর্ক থাকুন। কেউ বেল্ট খুলবেন না।

ডিসি-১৩ উড়ে চলছে পূর্বের মতই। সিজান বুঝতে পারল, বিমানটি হয়ত বারমুডার কাছ দিয়ে যাচ্ছে । ও জনসনকে জাগাল। বলল, দেখ তো কোথা দিয়ে যাচ্ছি আমরা?

ঘুমকাতুরে জনসন চোখ রগড়াতে রগড়াতে বলল, পৌঁছে গেছি নাকি?

-ধূর! বিপদের আশঙ্কা টের পাচ্ছি।

-কি বলিস ফ্রেন্ড! জনসনের মুখ মুহূর্তের মধ্যে শুকিয়ে গেল।

-দেখছ না প্লেন কেমন চক্কর খাচ্ছে!

বলার সঙ্গে সঙ্গে ডিসি-১৩ একটা মোচড় দিয়ে নিচ থেকে উপরে উঠে গেল। জনসনের দেহটা ছুটে এসে সিজানের গায়ের ওপর পড়ল। জোর হাতে সকল যাত্রী বেল্ট ও সিট আঁকড়ে ধরে পড়ে রইল। বার বার চক্কর খেতে খেতে ডিসি-১৩ ক্রমশ নিচের দিকে ধাবিত হতে লাগল।

জনসন গলায় ঝুলানো ক্রস চিহ্নটা বার বার বুকে ও কপালে ছোঁয়াতে লাগল। ও মুখ শুকনো করে সিজানের দিকে ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। সিজানও মনে মনে দোয়া পড়ে বুকে ফুঁ দিলো। এমন বিপদের মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ ছাড়া কোনো উপায় নেই।

এক অজানা আকর্ষণে বিমানটি ক্রমশই নিচের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে হুলুস্থুল পড়ে গেল। অনেকেই বেল্ট ছিঁড়ে একে অপরের গায়ে গড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ প্রচণ্ড গতিতে এক যাত্রী ছুটে এসে সিজানের গায়ের পর পড়ল। সিজান বুঝতে পারল আর রক্ষা নেই।

এবার ডিসি-১৩ বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের অতল গহ্বরে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যাবে, সকল যাত্রীর সলিল সমাধি ঘটবে। সিজানের বুকটা দুরু দুরু কেঁপে উঠল। এমন সময় হাউমাউ করে কান্নার শব্দ কানে আসল সিজানের। দেখল দূরে ছিঁটকে পরা জনসন কাকে যেন জড়িয়ে ধরে কাঁদছে।

হঠাৎ প্রচণ্ড এক ঝাঁকুনি দিয়ে উচ্ছলিত জলরাশির মধ্যে ডিসি-১৩ আটলান্টিকের অতল তলে তলিয়ে গেল। সিজান আর কিছু দেখার সুযোগ পেল না।

সিজান যখন চোখ মেলে তাকাল; দেখল একটি বরফযুক্ত সবুজ ভূমিতে পড়ে আছে। সে এখানে এল কীভাবে? প্লেনের আর সব মানুষজনই বা গেল কোথায়? সবাই মরে গেছে, নাকি হারিয়ে গেছে? সে কি এ দ্বীপে ভাসতে ভাসতে এসে পৌঁছেছে? সিজান আর কিছু মনে করতে পারল না।

আস্তে আস্তে উঠে বসল সিজান। ওপরের দিকে তাকাল, আকাশে মেঘ নেই কিন্তু সূর্যটা আবছা আলো দিচ্ছে। ঘাসের ওপর বরফ পড়ে থাকলেও তেমন শীত লাগছে না। উঠে দাঁড়িয়ে কোথাও যাবার পরিকল্পনা করল ও।

কিন্তু কোথায় যাবে ও?

চারিদিকে তো অবারিত সবুজ। তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। কিন্তু কোথাও জনমানবের চিহ্ন নেই। আস্তে আস্তে চোখ ঘুরিয়ে দেখল। নাহ্! কোথাও বসতি আছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে দূরে কোথাও ঘন অরণ্যের মত মনে হলো ওর কাছে। ওখানে হয়তো মানুষজন থাকতে পারে। অনেক দ্বীপেই তো মানুষজন থাকে। দেখা যাক কী আছে কপালে?

সিজান জোর কদমে হাঁটা শুরু করল। হাঁটতে হাঁটতে সত্যি একটা বড় অরণ্যের কাছে এসে পৌঁছাল। অরণ্যটি তেমন গহীন নয়। সারি সারি লম্বা সব গাছপালা। ফাঁকা জায়গাগুলোতে লতানো কিছু গাছও রয়েছে। হঠাৎ ও লক্ষ্য করল একদল হাতি দল বেঁধে কোথাও যেন যাচ্ছে।

এত বড় হাতি এর আগে কখনো দেখেনি। পৃথিবীর কোনো বন-জঙ্গলে এত বিশাল আকৃতির হাতি আছে বলে মনে হয় না। ওদের দেখে প্রাগৈতিহাসিক যুগের ‘ম্যামথ’-এর কথা মনে পড়ে গেল সিজানের। হাতির দল ওর সামনে দিয়ে চলে গেলে সিজান বনের ভিতর ঢুকে পড়ল।

প্রচণ্ড ক্ষুধা পেয়েছে ওর। কোথাও যদি ফল-মূল পাওয়া যায়!  ও খাবারের সন্ধানে হাঁটতে লাগল। যেতে যেতে পথের একপাশে দেখল, কতগুলো কলাগাছ খণ্ড খণ্ড অবস্থায় পড়ে আছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কিছু কাঁচা-পাকা কলার ছড়া। ও তাড়াতাড়ি কয়েকটা পাকা কলা কুড়িয়ে নিল। একপাশে ঘাসের ওপর বসে গোগ্রাসে কয়েকটা কলা খেয়ে নিল।

হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে সিজান চমকে উঠে দাঁড়াল। শব্দটি চেনা চেনা মনে হচ্ছে কিন্তু মনে করতে পারল না। কিছুক্ষণ পরেই ও দেখতে পেল একটি বড় ডাইনোসর আর একটি ছোট ডাইনোসরকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ও নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারল না। ও কি স্বপ্ন দেখছে? গায়ে চিমটি কাটল।

পৃথিবীতে তো এখন ডাইনোসর নেই! ডাইনোসরেরা তো বাস করত সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগে! এদের এখন শুধু গল্পে-সিনেমায় দেখা যায়, বাস্তবে নয়। তাহলে সে কোথায় এসে পৌঁছেছে? পৃথিবীর কোনো ভূখণ্ডে না অন্য কোথাও? সিজান চিন্তায় পড়ে গেল।

ডাইনোসরেরা চলে যাওয়ার পর সিজান কিছুটা ভীরুপায়ে হাঁটতে লাগল। তাহলে কি এটি পৃথিবীর কোনো দ্বীপ নয়? সে কি তবে অন্য কোনো গ্রহে এসে পৌঁছেছে? অন্য কোনো গ্রহ হলে পৃথিবীর জীবজন্তু এখানে থাকবে কেন? জীব-জন্তু থাকলে তো মানুষেরও দেখা পাবার কথা? কিন্তু কোথায় তারা?

সিজান হাঁটতে হাঁটতে ফাঁকা একটি মাঠের মতো জায়গায় এসে পৌঁছাল। তাহলে এটাই বনের শেষ প্রান্ত। ওই তো একটি মসজিদের গম্বুজের মতো মনে হচ্ছে। নিশ্চয়ই ওখানে মানুষের বসতি আছে। সিজান মসজিদের দিকে দ্রুত পা বাড়াল।

সিজান কাছে এসে দেখল, না, এটা কোনো মসজিদ নয়। পৃথিবীর ঘরবাড়ি বা কোনো স্থাপনার সাথে এর কোনোরূপ মিল নেই। স্থাপনাটি ইট-পাথরের তৈরিও নয়। দেখে মনে হচ্ছে সিসা বা সিলভার দিয়ে তৈরী। আকৃতিও ভিন্ন রকমের, অনেকটা নভোথিয়েটারের মত।

সিজান দরজার সামনে দাঁড়াতেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে দরজার পাল্লা ভিতরে হারিয়ে গেল। ও ভিতরে ঢুকতেই পাল্লাটি আবার বের হয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে গেল।

ভিতরে ঢুকে সিজান বিস্মিত হয়ে গেল। অদ্ভুত কারুকার্যে স্থাপনাটি তৈরি। এমন স্থাপত্যশৈলী পৃথিবীর কোথাও নেই। সব কিছুই কেমন ঝলমলে আলোকময়,  যেন প্রতিটি বস্তু থেকে আলোক রশ্মি বিচ্ছুরিত হচ্ছে। সিজান বিশাল হল রুমটি ঘুরে ঘুরে যতই দেখতে লাগল ততই সে মুগ্ধ হতে লাগল।

কিন্তু কোথাও মানুষজন নেই কেন? কীভাবে ডাকবে ওদের? এরা কি পৃথিবীর মানুষ না কি অন্য কেউ? ওরা কি ওর ভাষা বুঝবে? না কি এখানে কেউ নেই?  ও এক স্বপ্নের জগতে ঘুরপাক খেতে লাগল।

সিজান ঘুরতে ঘুরতে একটি আসনে বসে পড়ল। আসনে বসে ও চিন্তা করতে লাগল, যেহেতু এখানে বসার ব্যবস্থা রয়েছে সুতরাং মানুষজন থাকার সম্ভবনাও আছে। কিন্তু কথা না বললে কিংবা শব্দ না করলে ওরা ওর উপস্থিতি টের পাবে কি করে? সিজান উচ্চস্বরে একটা গান ধরল-

হায় রে কপাল মন্দ

চোখ থাকিতে অন্ধ

এ জীবন জ্বইলা পুইড়া শেষ তো হলো না...

গান শেষ হতে না হতেই রুমের মধ্যে অদ্ভুত একটা শব্দ হল। একটা ধোঁয়ার কুণ্ডলীর মতো বস্তু এসে সিজানের কয়েক গজ সামনে এসে পড়ল। আস্তে আস্তে সে ধোঁয়ার কুণ্ডলী মূর্ত হতে লাগল।

সিজান আলাদিনের চেরাগের গল্প পড়েছে। সিনেমা-নাটকেও দেখেছে। চেরাগ থেকে এ রকম ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে দৈত্য বেরিয়ে আসে। ও কিছুটা ভড়কে গেল। গলা শুকিয়ে আসতে লাগল। ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল।

কিছুক্ষণ পর সিজান চোখ খুলে দেখল-ধোঁয়ার কুণ্ডলীটা আর কিছু নয়- একটা গোলাকার চাকতির মতো যান বা সসারের ধোঁয়া। তবে এ ধোঁয়া পৃথিবীর ধোঁয়ার মত নয়, কোনো এক প্রকারের গ্যাস হবে হয়ত।

সসার থেকে একজন মানুষ বেরিয়ে সিজানের দিকে আগাতে লাগল। ওকে মানুষ বললে ভুল হবে; দু’পাওয়ালা অদ্ভুত জীব বলাই ভালো। লম্বা ছিপছিপে দেহ। দুটো হাত ও দুটো পা রয়েছে জীবটির। মুখটা মানুষের মতো গোলগাল হলেও মাত্র তিনটে ছিদ্র রয়েছে ওখানে। সিজানের মনে হল ওই ছিদ্রগুলোই চোখ ও নাক-মুখের কাজ করে।

অদ্ভুত জীবটি সিজানের কাছে এসে ওর কানে ও মুখে  হেডফোনের মতো একটি ছোট্ট যন্ত্র লাগিয়ে দিল। এর পর লম্বা আঙুল তুলে কথা বলতে ইশারা করল।

(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)



মে-জুন ২০১৮।বর্ষ ৪।সংখ্যা ১

 

 

 

জার্নি টু দ্য বারমুডা ট্রায়াঙ্গল

বিপজ্জনক ভাইরাসেরা

 

ছোট ম্যাজেলানিক ক্লাউড

 

চিনে রাখি অসুখগুলি

মহাশূন্যে বসবাস

বাদুড়ের অজানা অধ্যায়

শ্বাস-প্রশ্বাসের গল্প

সৌরজগতের জলাধার

ন্যানো প্রযুক্তির ঘরে

ফুটবলে বিজ্ঞানঃ টেলস্টার ১৮

স্বপ্নঃ রহস্যঘেরা এক বাস্তবতা